বাংলাদেশ নিসর্গের বিচিত্রমাত্রিক রূপৈশ্বর্যে কান্তিমান। সোনার বাংলা গানের অমিয়ধারাসিঞ্চনে প্রাণ -তরঙ্গে সবুজে সবুজ। অপরূপ তাঁর লাবণ্যশ্রী।
এ দেশের ৬৪ টি জেলার পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে হৃদয়রঞ্জন সুন্দরতার অমৃত-হিল্লোল!
রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের কণ্ঠে শোনা যায় বিমুগ্ধ মূর্ছনা,
“বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর । “
১২০ কিলোমিটার এলাকাবিস্তৃত পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের পাড়ে অবস্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্গত কক্সবাজার জেলা। কক্সবাজার জেলাকে বলা যায়, বাংলাদেশের সৌন্দর্যমালার মধ্যমণি।মাইকেল মধুসূদন দত্তের লেখা থেকে উপমা চয়ন করে বলি, ” কৌস্তভ রতন যথা মাধবের বুকে। “
সোনালি বালুকার ঝিলিমিলি আলিম্পন, কাদাহীন, প্রাকৃতিকভাবে বিন্যস্ত কক্সবাজার সমুদ্র-সৈকত অনন্য সুন্দর! পাহাড়ের সৌম্য স্নিগ্ধতা, লীলাবতী নদী, দিগন্তবিস্তৃত মায়াবি সাগর, লাস্যবতী ঝরনা, প্রবালের চিত্ত গ্রাহী লাবণ্য, ঝাউবনে মন কে মনের হাওয়া, সুরম্য ঢেউয়ের জল তরঙ্গ কলগীতি, স্নিগ্ধ দীপাঞ্চলের অবিরল হাতছানি ইত্যাদি ইত্যাদি অলংকারে এ জেলা সৌন্দর্যের অমরাবতী।
এখানে আছে কলাতলি বিচ, হিমছড়ি বিচ, লাবনি বিচ,সুগন্ধা বিচ, ইনানি বিচ প্রভৃতি।
এছাড়া ইনানি ন্যাশনাল পার্ক, গোলাপ বাগান, শুটকি মহাল, ঝিনুক মার্কেট, হ্যাচারিজোন, রাখাইনপাড়া, বার্মিজ মার্কেট,আদিনাথ মন্দির, বদর মোকাম জামে মসজিদ, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র স্থান রামু,রেডিডেন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড, মেরিন ড্রাইভরোড, লবণ উৎপাদন কেন্দ্রসহ আরো কত কত দর্শনীয় স্থানের আকর্ষণ।
দ্বীপের মধ্যে আছে সোনাদিয়া, মহেশখালি,কুতুবদিয়া, শাহপরি প্রভৃতির সাথে আপন সৌন্দর্যে মোহনমধুর বাংলাদেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন।এ দ্বীপ সৌন্দর্যে, মাধুর্যে, বৈভবে, এককথায় স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে অনন্য উচ্চতায় দীপ্র।
রূপকথার রাজকন্যার মত সুন্দর! দেখে চোখ জুড়ায়! মন হারায়! আনন্দ -পাখিরা সাতরঙা পাখায় পাখা মেলে ।
টেকনাফ শহর থেকে ৯ কিলোমিটার আর মায়ানমার উপকূলের ৮ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরের অববাহিকায় নাফ নদীর মোহনায় এই মোহনীয় দ্বীপের অবস্থান।
জোয়ারের উদ্দাম সময়ে এর আয়তন হয় প্রায় পাঁচ বর্গ কিলোমিটার। আর ভাটার নৈঃশব্দ্য-গানের সময় ৮বা ৯ কিলোমিটার পর্যন্ত দ্বীপটি বিস্তৃতি লাভ করে। এখানে প্রায় ৮০০০ মানুষ বসবাস করেন। মাছ ধরাই তাঁদের একমাত্র পেশা বলা যায়। প্রায় ৫০০০ বছর আগে সেন্ট মার্টিন টেকনাফের মূল ভূমির অংশ ছিল। অতঃপর প্রকৃতির বিচিত্র খেয়ালে যখন পানির উচ্চতা বাড়তে থাকে, তখন ধীরে ধীরে সমুদ্রের নিচে হারিয়ে যায়। সময় বয়ে যেতে থাকে অবিরল।
এরপর সময়ের প্রবহমানতার নিরন্তর বিক্ষেপে আবার আস্তে আস্তে জেগে ওঠে। বর্তমান দ্বীপের দক্ষিণপাড়া প্রথমে আলোর মুখ দেখে। ক্রমে ক্রমে দ্বীপের বাকি অংশ অপরূপ রূপমাধুরীর ডালা নিয়ে জেগে উঠতে থাকে।
প্রায় ২৫০ বছর আগে আরব বণিকদের নজরে আসে এই রূপময়ী ভূখণ্ড । তাঁরা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ারসাথে বাণিজ্যকালে এ দ্বীপে বিশ্রাম নিতেন। তখন তাঁরা এর নামকরণ করেন, জাজিরা। ১৮৯০ সালে কিছু মৎস্যজীবী এখানে বসতি স্থাপন করেন। তখন দ্বীপে প্রচুর নারিকেল গাছ থাকায় নারিকেল শব্দের সাথে জাজিরা শব্দের অপভ্রংশযোগে নারিকেল জিঞ্জিরা নামে দ্বীপটি পরিচিত হতে থাকে।
ব্রিটিশ শাসনামলে ১৯০০ সালে ভূমি জরিপের সময় দ্বীপটিকে ব্রিটিশ ভারতের অঙ্গীভূত করা হয়। ব্রিটিশরা খ্রিস্টান সাধু মার্টিনের প্রতি সম্মানের স্মারক স্বরূপ এর নামকরণ করেন সেন্ট মার্টিন। দ্বীপের নাম নিয়ে ভিন্ন মতও প্রচলিত। গবেষকদের মতে, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মার্টিনের নামানুসারে এর নাম দেয়া হয় সেন্টমার্টিন। এখানে এখনো প্রায় দেড় লাখেরও বেশি নারিকেল গাছের সৌন্দর্য পর্যটকদের বিমুগ্ধ করে।
দ্বীপের সৌন্দর্য-ধারা বহু বিচিত্র বৈশিষ্ট্যে উদ্ভাসিত। জীববৈচিত্র্য সহজেই নজর কাড়ে। এখানে আছে বিরল প্রজাতির জলপাই র ঙা সাগর কচ্ছপ। এ কচ্ছপ অনেকদিন বাঁচে। এরা দ্বীপে ডিমও দেয়। আছে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাঁকড়াদের চঞ্চল বিচরণ। জোয়ারের পানি নেমে গেলে সৈকতে দেখা যায় কাঁকড়ার প্রচুর গর্ত। কাঁকড়াদের বিচরণ আর অগণিত গর্ত সবকিছুই শিল্পের এক ভিন্নমাত্রার ব্যঞ্জনায় চিত্তগ্রাহী ।
গবেষকদের ধারণা, এখানে প্রায় ২৪০ প্রজাতির মাছ আছে । কিছু কিছু মাছ অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন আর কাব্যগন্ধী নামের দ্যোতনায় স্বতন্ত্র।
যেমন, টুনা, সুন্দরী, রূপচাঁদা, পরি, কোরাল,প্রজাপতি, বোল,সুঁই ইত্যাদি নাম শ্রুতিনন্দন। দ্বীপের বিচিত্রতা অত্যন্ত চিত্তরঞ্জী। সমুদ্রের পাথরের ভাঁজে ভাঁজে মাছেরা লুকিয়ে থাকে। অধিবাসীদের প্রায় সবারই জীবিকা হল মাছ শিকার। ট্রলার নিয়ে তাঁরা গভীর সমুদ্রে চলে যান।উত্তাল ঢেউয়ে ভেসে ভেসে যায় স্বপ্নীল সাম্পান। সাগরে ভেসে যাওয়া বিভিন্ন ডিজাইনের বিভিন্ন নামের নৌকাগুলো নির্মাণশিল্পীর কুশলতায় অত্যন্ত বিস্ময়কর।প্রধানত কাঠসহ অন্যান্য উপকরণ দিয়ে নির্মিত এসব অনিন্দ্যসুন্দর শিল্প -কর্ম চিত্তে, মনে, চোখে সংগোপনে এঁকে দেয় বিমুগ্ধ বিস্ময়ের অপূর্ব মায়াঞ্জন।
এসবের পাশাপাশি প্রায় ৬৬ প্রজাতির প্রবালের অপার্থিব সৌন্দর্য এবং মহিমায় মানুষের দৃষ্টি প্রতিনিয়ত বিমোহিত এবং অনুরঞ্জিত হতে থাকে। সেন্ট মার্টিনে প্রতিদিন প্রায় দশ হাজার পর্যটকের সমাগম ঘটে।
শ্রীময়ী ঢেউ এর চিন্ময় কণ্ঠথেকে অবিরল ভেসে আসে প্রশান্তির আনন্দসংগীত! স্বচ্ছ নীল জলে প্রতিবিম্বিত হয় স্বর্গীয় উৎসবের দীপাবলির আলো।আকাশ বাতাস ছাপিয়ে বাজতে থাকে সুরম্য চিত্রকলার রঙের বাঁশি।
আমরা কক্সবাজার শহর থেকে বাসযোগে টেকনাফ এসে সেন্ট মার্টিনগামী জাহাজের দোতলায় গিয়ে বসি।
জাহাজ ছেড়ে দেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মনেহতে লাগলো, বুঝি এক অচিন দেশের নির্মোঘ আবাহনে সাত সাগরের ময়ূরকণ্ঠী নৌকায় ভেসে চলেছি!
এদিক ওদিক চোখে পড়ছে বিচিত্র সব নৌকা। রূপ -পিয়াসি হৃদয়ের জানালায় কোত্থেকে এক অচিন হাওয়া এসে ডাক দিতে লাগলো! অমনি মন মেলে দিলো ময়ূরকণ্ঠী রঙ এর পাখা। হারিয়ে যেতে লাগলো “দূরে, কোথায় দূরে দূরে…
যে বাঁশিতে বাতাস কাঁদে, সে বাঁশিটির সুরে সুরে । ” (রবীন্দ্রনাথ)
তিনি যথার্থই বলেছেন,” সৌন্দর্যমাত্রেই আমাদের মনে অ নিত্যের সঙ্গে নিত্যের একটা বিরোধ বাঁধিয়ে অকারণ বেদনার সৃষ্টি করে । “এই অকারণ বেদনার পুলক উৎসার না দেখা ফুলের গন্ধের মত অনুভবের হিরণ্য অট্টালিকার প্রতিটি কক্ষে কক্ষে ছড়াতে লাগলো সুরের অধরা মাধুরী!
হঠাৎ করেই পাখির কলগুঞ্জন শুনে প্রাণ, মন, চোখ সচকিত,বিস্মিত, পুলকিত, আপ্লুত! কোত্থেকে এলো ঝাঁকে ঝাঁকে এসব পাখিরা? স্বর্গভূমির চিরহরিৎ অরূপ বন বনানীর বাসিন্দাদের পাখনাজুড়ে খেলা করছে বৃষ্টি -ভেজা কামিনী ফুলের শুভ্রতা! একটু জায়গায় আবার কুচকুচে কালো রং, যা মনে করিয়ে দেয়, লবঙ্গদ্বীপের রাজকন্যা শঙ্খমালার দীঘল চুলের কথা! জাহাজের গতির সাথে তাল মিলিয়ে পেছনে, দু পাশে সমান্তরালভাবে উড়ে আসছে দূরযায়ী মায়াবি গাংচিল! অসহ্য সুন্দর!! বর্ণনার ভাষা নেই! ভাষাচিত্র অঙ্কনের রং তুলি নেই!
যাত্রীদের সাথে আমরাও চিপস, বিস্কিট, মুড়ি প্রভৃতি নানারকম খাদ্যসামগ্রী ছড়িয়ে দিতে লাগলাম। পাখিরা ছোঁ মেরে হাত থেকে নিতে লাগলো! আহা! এ দৃশ্যকি জন্মজন্মান্তরে ভোলা যায়?
স্মৃতির আকাশে পাখিরা উড়ে বেড়ায় বিরতিহীন গানের মতো!
হোটেলে একটু বিশ্রাম নিয়ে গেলাম সমুদ্র দেখতে। সৈকত জুড়ে তখন নিঝুম স্তব্ধতা। পশ্চিম আকাশে রক্তিম সূর্য রঙের হোলি খেলছে । আর বহুদূর বিস্তৃত প্রবালের বন্যায় নৃত্য করছে মধুমতী জীবনের সুরেলা পদাবলি।
আমরা যখন গেছি তখন সৈকতে কোনোরকমের ছাতা, বসার জায়গা, ফেরিওয়ালা ইত্যাদি কিছুই ছিল না। কোনোরকম কৃত্রিমতায় নিসর্গকন্যার রূপ বৈভব পরিম্লান হয়নি! কী অসীম সৌভাগ্য! চারপাশে শুধু মধুরিমা প্রকৃতি সুধা -গন্ধে হিল্লালিয়া ওঠছে! এরমাঝে দাঁড়িয়ে, সমুদ্রে নেমে, প্রবালে বসে, যে উপলব্ধি_ যে অনুভূতি তা অনির্বাচ্য! কথার নিগঢ়ে তাকে বাঁধা যাবে না। কেবল প্রাণের নিভৃতে অনুভব! আর অনুভব! এই হিরণ্ময় প্রাপ্তির কোনো তুলনা হয় না।
প্রাণচঞ্চল দ্বীপে হোটেল, রেস্তোরা, দোকানপাট প্রচুর। দোকানে সামুদ্রিক উপকরণে তৈরি নানারকম দৃষ্টিনন্দন সামগ্রীর সাথে আছে বার্মিজ জিনিসের ছড়াছড়ি।
পরদিন আমরা রওনা দিলাম বাংলাদেশের দক্ষিণের শেষ সীমানায় অবস্থিত ছেঁড়া দ্বীপ দেখতে। এরপর বাংলাদেশের আর কোনো ভূখণ্ড নেই।
অথৈ অকূল জলরাশির বুক চিড়ে দ্রুত বেগে ছুটছে আমাদের স্পিডবোট। দুপাশের উত্তাল তরঙ্গমালা জলের উচ্ছ্বাসে বারবার আরোহীদের ভিজিয়ে দিচ্ছিলো।
জগৎজুড়ে তখন কিছু আর নেই। অনেক দূরে মায়ানমার। দু একটা জাহাজের অস্পষ্ট অবয়ব। এই অপার্থিব যাত্রার বিস্ময় -পুলক স্মৃতির আকাশে প্রদীপ্ত ধ্রুবতারা হয়ে আছে।
স্পিডবোট মূল ভূখণ্ড থেকে একটু দূরে থেমে গেলে আমরা ছোট নৌকাযোগে নামলাম প্রবাল রাজ্যে। এখানে চলাচলে সতর্কতা প্রয়োজন । কারণ, প্রবালের অত্যন্ত তীক্ষ্ণ, ধারালো অংশ আকাশমুখী। এসবের উপরে পা ফেলে ফেলে হাঁটতে হয়। কোথাও আবার পিচ্ছিল। এর মাঝেই দু একজনকে পড়ে যেতে দেখলাম। কোথাও কোনো জন-বসতির চিহ্ন চোখে পড়লো না। কেবল পর্যটক আর পর্যটক।
দ্বীপের উপরের অংশের প্রবাল মৃত। কিন্তু নিচে জীবিত প্রবালের ছড়াছড়ি। পানি ফটিক স্বচ্ছ। পানির রং নীলপরির নীলাম্বরী শাড়িরমত নীলাভ,মনোরম।
নিচে সঞ্চরণশীল মাছদের চঞ্চল গতি -বিভঙ্গ অত্যন্ত চিত্তরঞ্জন। এখানে আছে কেয়া, কেওড়া, সাগরলতা, নারিকেলসহ আরো নাম না জানা কত গাছের মায়াবি হাতছানি।এখানে মিষ্টি শীতল হাওয়া প্রশান্তির বাঁশি বাজায়।তখনো কোন কৃত্রিমতার করাল গ্রাসে মোহনীয় সৌন্দর্য নষ্ট হয়নি বলে অলৌকিক রূপ মাধুরীর অমিয় আস্বাদ প্রাণ ভরে নিলাম । আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে সুন্দর, অপরূপ, মোহন, মধুর, অনন্য এই ছেঁড়াদ্বীপ তথা সেন্ট মার্টিন দ্বীপ।
ফেরার পথে স্পিডবোটে বসে বসে মনের ভেতর গুঞ্জরিত হতে লাগলো দুরন্ত দুর্বার এক অবুঝ কাঙ্ক্ষা । যা কোনদিনও পূরণ হবে না!
আহা! অথির জোছনায় এদিকে নিশ্চয়ই সাগর কন্যারা বেড়াতে আসে! যদি একবার জোছনায় ভিজে ভিজে ওদের দেখতে পারতাম!
এরসাথে আরো একটা ইচ্ছে পাখি পাখা ঝাপটাতে শুরু করলো। না জানি অঝোর বর্ষার রাত নিশুতে দ্বীপটা কেমন দেখায়! ভাবতে ভাবতে মেঘের আবাহনে মনের ময়ূর অনিন্দ্য সুন্দর পেখম মেলে নেচে ওঠলো।
প্রকৃতার্থে বাংলাদেশ রূপ লাবণ্যের এক অনন্য চিত্রলেখা।এ কারণেই রূপ -মুগ্ধ চিত্ত উৎসারিত হয় শতধারায়।
আকাশ ছাপিয়ে বাজে পুলক-বাঁশি।
নিজের অজান্তেই রবীন্দ্র সংগীতের অতলান্ত ভাব -তন্ময় সাগরে মন হারিয়ে গেলো। চিন্ময় আনন্দ বর্ষার ছোঁয়ালাগা প্রথম কদম ফুলের পুলকে ফুটে ফুটে উঠতে লাগলো!
আর দূর দিগন্তে পাখা মেলে দিলো অথির, অবিনাশী ভালোবাসা,
” সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে ।
সার্থক জনম মা গো, তোমায় ভালোবেসে। “
সূত্র: ইন্টারনেট ও নিজস্ব পর্যবেক্ষণ।
লেখক: জাহান আরা খাতুন, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, হবিগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ, হবিগঞ্জ।
[প্রিয় পাঠক, পাবলিক রিঅ্যাকশনের প্রায় প্রতিটি বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। আপনার অনুভূতির কথা আমাদের লিখে পাঠান। ছবিসহ মেইল করুন opinion2mail@gmail.com এই ঠিকানায়। যে কোনো খবর, ভ্রমণ, আড্ডা, গল্প, স্মৃতিচারণসহ যে কোনো বিষয়ে লিখে পাঠাতে পারেন। পাঠকের লেখা আমাদের কাছে সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ।]