আসামি ধরে নিয়ে গিয়ে ক্রসফায়ারে মেরে ফেলার ভয় দেখাতেন তার স্ত্রীকে। তবে রেহাই মিলবে শারীরিক সম্পর্কে জড়ালে। এভাবে আসামিকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে তার রোজাদার স্ত্রীকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে নারায়ণগঞ্জ র্যাব-১১ এর সাবেক কর্মকর্তা আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় চলছে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ সম্পর্কিত পোস্ট শেয়ার করেছেন।
কাতার ভিত্তিক নিউজ চ্যানেল আলজাজিরার সাংবাদিক মউদুদ সুজন ফেসবুকে পোস্টটি লিখেছেন। সেই পোস্টে লেখা, ‘‘গুম হওয়া স্বামী বলছেন, পবিত্র শবেকদরের দিন রোজা ভাঙিয়ে ধর্ষণ করা হয় তার স্ত্রীকে। এর আগেও প্রায় তিনবার ধর্ষণ করা হয়েছে স্বামীকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে। শেষবার ধর্ষণের পর স্ত্রীর মানসিক অবস্থার অবনতি হয় এবং কিছুদিন পরে মৃত্যুবরণ করেন।’’
অভিযুক্ত নারায়ণগঞ্জ র্যাব-১১ এর সাবেক কর্মকর্তা আলেপ উদ্দিন। ফাইল ছবি
সেই পোস্টে উল্লেখ করা হয়, ‘‘ধর্ষক র্যাবের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নাম আলেপ। স্বামী সবকিছু হারিয়ে যখন আলেপকে বারংবার ফোন দিতে থাকেন, আলেপ রিপ্লাইয়ে জানান, বন্দি মেয়ে বা বন্দি পুরুষদের স্ত্রীদের সঙ্গে এমন আচরণ এখানে অলিখিতভাবে স্বীকৃত।’’
সেখানে উল্লেখ করা হয়, ‘‘মানুষ কতটা নিচুতে নামলে নিজের মা/স্ত্রী/মেয়ে থাকা সত্ত্বেও একজন বন্দির স্ত্রীকে এমনভাবে ট্রিট করে! এই র্যাব কর্মকর্তা আলেপের বিচার সবার আগে হওয়া উচিত।’’
এ নিয়ে ফেসবুক পোস্ট করেছেন আল জাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরও। তিনি লিখেছেন, ‘‘৫ আগস্ট পরবর্তী পরিস্থিতিতে এই আলেপ বেশ বহাল তবিয়তেই দিন কাটাচ্ছিলেন, এসবি থেকে বদলি হয় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে। পরে ২০ অক্টোবর তার একটি পোস্টের পর যেন কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে, আলেপকে বরিশাল পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয় এবং পরে সেখান থেকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।’’
এই আলেপের মতো ‘খুনি, অপহরণকারী এবং জঘন্য সব কর্মকাণ্ডে লিপ্ত’ অনেকেই বিভিন্ন বাহিনীতে এখনো কর্মরত রয়েছে। তাদের চিহ্নিত করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলেও মন্তব্য করেন সায়ের।