কোরবানির হাটে ওঠে মস্ত এক ষাঁড়, ওজনটা না হলেও দশ মণ তার। রঙ তার সাদাকালো চোখ ছানাবড়া, হাম্বা ডাক ছেড়ে যেন কাঁপায় সে ধরা। শিঙগুলো বড় বড়, ইয়া মোটা দেহ, তার মতো ষাঁড় আগে দেখেনি তো কেহ। সেই ষাঁড় ভাবে মনে দেখে ছোট ষাঁড়, কুপোকাত করি এমন দিনে দুই, চার। আমি যে লড়াই করে মালা পাই নিতি, এবারও লড়ে দামি সোনাটাই জিতি।” ভিন গরু ভয়ে পাশে ভিড়ে না তো কেউ, তাই দেখে তার মনে উঠে খুশির ঢেউ। অবশেষে সে ষাঁড়ই হলো ধরাশায়ী, চোখে তার জল এল প্রাণে ত্রাহি ত্রাহি। ঈদের দিন আটটা নামাজের শেষে, বারোটা বাজাল তার নয়া প্রভু এসে। ঝকঝকে তরবারি তীক্ষ্ণ ক্ষুরধার, সমুখে জবাই হলো সুজন যে তার। এ দৃশ্য দেখে ভয়ে মুত এল তার, শেষে এল পালা এই তেজস্বী ষণ্ডার। চার পায়ে বেঁধে সবে টেনে ধরে রশি, গলায় চলে দু-হাতে মৌলভীর অসি। পা’র রগ কেটে দিল, কমে এল আয়ূ, জারিজুরি সব গেল, গেল প্রাণবায়ু। হায়! গেল প্রাণবায়ু। হায়! গেল প্রাণবায়ু।।
কবি: মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ, নিউ ইয়র্ক প্রবাসী।
[প্রিয় পাঠক, পাবলিক রিঅ্যাকশনের প্রায় প্রতিটি বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। আপনার অনুভূতির কথা আমাদের লিখে পাঠান। ছবিসহ মেইল করুন opinion2mail@gmail.com এই ঠিকানায়। যে কোনো খবর, ভ্রমণ, আড্ডা, গল্প, স্মৃতিচারণসহ যে কোনো বিষয়ে লিখে পাঠাতে পারেন। পাঠকের লেখা আমাদের কাছে সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ।]