ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (এআইএস) বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেছেন অধ্যাপক মো. মাকসুদুর রহমান সরকার, এফসিএমএ।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) তিনি এই বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেন।
যোগদানের পর থেকে অভিনন্দনে সিক্ত হচ্ছেন জনপ্রিয় এই শিক্ষক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পাশাপাশি, সহকর্মী, ছাত্রছাত্রী এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা গুণী এই শিক্ষককে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
এআইএস বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদানের মুহুর্তে বৃহস্পতিবার সহকর্মীরা অধ্যাপক মো. মাকসুদুর রহমান সরকারকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
এতোদিন ড. ধীমান কুমার চৌধুরী এআইএস বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। অধ্যাপক মো. মাকসুদুর রহমান সরকার তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।
গত ১৯ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আদেশ, ১৯৭৩ এর অন্তর্ভুক্ত প্রথম স্ট্যাটিউটস-এর ৪৩ (১) ধারা অনুযায়ী উপাচার্য অধ্যাপক মো. মাকসুদুর রহমান সরকারকে ২০২৫ সালের ২ জানুয়ারি থেকে ৩ বছরের জন্য প্রচলিত শর্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেন।
অধ্যাপক মো. মাকসুদুর রহমান সরকার ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএমএবি) একজন সহযোগী সদস্য। প্রফেসর সরকার বি.কম. (অনার্স) এবং এম.কম. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাববিজ্ঞানে এবং উভয় ক্ষেত্রেই প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন।
তিনি ১৯৯৭ সালে কানাডার কমনওয়েলথ বৃত্তি অর্জন করে কানাডার নিউ ব্রান্সউইক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন।
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পেন স্টেট ইউনিভার্সিটির স্টেট এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম বিভাগের অধীনে একজন ভিজিটিং স্কলার ছিলেন। দেশে-বিদেশে বিভিন্ন একাডেমিক এবং পেশাদার জার্নালে তার কৃতিত্বের উপর ৩৫টিরও বেশি প্রকাশিত নিবন্ধ রয়েছে।
প্রফেসর সরকার বিভিন্ন সামাজিক ও কর্পোরেট সংস্থার সাথে বিভিন্ন ক্ষমতায় জড়িত। তিনি সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংক পিএলসির একজন স্বাধীন পরিচালক। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশে বিরল রোগ এসএমএ আক্রান্তদের কল্যাণে কাজ করা রোগী এবং অভিভাবকদের একমাত্র সংগঠন ‘কিউর এসএমএ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’-এর নির্বাহী কমিটির সদস্য।
তিনি জাপানে এসডব্লিউওয়াই প্রোগ্রামের ওয়ার্ল্ড ইয়ুথ সামিটে একটি সরকারি প্রতিনিধি দলের জাতীয় নেতা ছিলেন। তিনি একাডেমিক এবং পেশাদার প্রশিক্ষণ, সম্মেলন ও সেমিনারে যোগদানের জন্য ২৫টিরও বেশি দেশ সফর করেছেন।