পালোয়ান ষাঁড় | মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ

:: কলরব ডেস্ক | পাবলিকরিঅ্যাকশন.নেট
প্রকাশ: ৩ সপ্তাহ আগে

পালোয়ান ষাঁড়
মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ

বাজারে ওঠে এক পালোয়ান ষাঁড়,
দেখে তারে মনে হয় মাংসের পাহাড়।

গায়ে তার চিকনাই ধরে রাখা দায়,
না জানি কত জোর আছে তার গায়।

খেয়ে খেয়ে হলো তার ইয়া বড় দেহ,
আশেপাশে যত গরু নাই সম কেহ।

থরথর কাঁপে ভূমি হাঁটে যেই পথে,
এই গরু মেলা ভার, পাবে না কো শতে।

বিক্রেতা চায় দাম বিশ লাখ তার,
দরদামে বনে গেলে করে দেবে পার।

ধনকুবের কতজনে বলে গেল দাম,
দশ লাখ বারো লাখে হলো না তো কাম।

এদিকে অকস্মাৎ মারা গেল ষাঁড়,
নিমিষেই পড়ে গিয়ে উঠল না আর।

‘তাড়াতাড়ি মোটাতাজা’ প্রজেক্টের গরু,
রোজ খেত ইউরিয়া, লতাপাতা-তরু।

ইউরিয়া সার খেয়ে দেহ যায় ফুলে,
কীভাবে যে কী হলো শোন বলি খুলে।

ইউরিয়া বিষ তার কেড়ে নেয় আয়ু,
প্রস্রাব আটকে শেষে যায় প্রাণবায়ু।

প্রতিদিন ইউরিয়া খাওয়ানোর ফলে,
নষ্ট হয় কিডনি ও প্রস্রাবের থলে।

ময়নাতদন্ত করে তাহা জানা যায়,
বিক্রেতা অবশেষে করে হায়! হায়!

রাতারাতি বড়লোক হবে সেই আশে,
নিজ হাতে গরুটার জীবন সে নাশে।

‘অতি লোভে তাঁতি নষ্ট’ গেল লাভাসল,
সাথী হলো দুঃখ আর দু-চোখেরই জল।
হায়ঃ দু-চোখেরই জল! হায়ঃ দু-চোখেরই জল !!

 

কবি: মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ, নিউ ইয়র্ক প্রবাসী।


[প্রিয় পাঠক, পাবলিক রিঅ্যাকশনের প্রায় প্রতিটি বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। আপনার অনুভূতির কথা আমাদের লিখে পাঠান। ছবিসহ মেইল করুন opinion2mail@gmail.com এই ঠিকানায়। যে কোনো খবর, ভ্রমণ, আড্ডা, গল্প, স্মৃতিচারণসহ যে কোনো বিষয়ে লিখে পাঠাতে পারেন। পাঠকের লেখা আমাদের কাছে সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ।]