বাড়ি বহুদূর গাঁও রূপাপুর। ভরা সংসার সবই ছিল তার। কিন্তুগো হায় বিয়ে ভেঙে যায় কারণ একটাই যৌতুক চাই। প্রাণে কত সয় স্বামী খালি কয়, ' আরো নিয়ে আয়'। টাকা কই পায়। মারধোর খায় কেঁদে পড়ে পায়, 'বাপ মা নাই কার কাছে যাই।' তবু ভাঙে ঘর হায় তারপর আসেও ঢাকায় কাজের আশায়। নেমে বাস থেকে কারে কয় ডেকে, দাও ওগো ঠাঁই কেউ চেনা নাই। একা একা ভাবে কোনদিকে যাবে। এসে পায় পায় রাতটা ঘনায়। হায় হায় হায় ভাত কই পায়! প্রাণ ধড়ফড় ভয়ে থর থর। থমথমে রাত হায়েনার হাত থাবাটা বসায় ও-যে অসহায়। ধর্ষিতা নারী করে আহাজারি। কাঁদে অবিরাম কুলসুমি নাম। এক মেয়েলোক বলে, 'যাই হোক চল যাবি সাথে ভয় নেই তাতে। ভালো কাজ পাবি আয় আয় যাবি।' কই জানি নেয় বিকি করে দেয় পাঁচশ টাকায় ঘোর আঁধিয়ায়। ভোলে ছলনায় থই যে-না পায়। নরক নরক গলি ভয়ানক। পালাই আশায় কত মার খায়। নিদয় নরকে মরে ধুঁকেধুঁকে। তবু সাজগোজ শুধু করে খোঁজ 'খদ্দের কই পথ চেয়ে রই।'
কবি: জাহান আরা খাতুন, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, হবিগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ, হবিগঞ্জ।
[প্রিয় পাঠক, পাবলিক রিঅ্যাকশনের প্রায় প্রতিটি বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। আপনার অনুভূতির কথা আমাদের লিখে পাঠান। ছবিসহ মেইল করুন opinion2mail@gmail.com এই ঠিকানায়। যে কোনো খবর, ভ্রমণ, আড্ডা, গল্প, স্মৃতিচারণসহ যে কোনো বিষয়ে লিখে পাঠাতে পারেন। পাঠকের লেখা আমাদের কাছে সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ।]