জাহান আরা খাতুনের শিশুতোষ গল্প ‘দোয়েল পাখির ভূত বন্ধু’

:: কলরব ডেস্ক | পাবলিকরিঅ্যাকশন.নেট
প্রকাশ: ২ সপ্তাহ আগে

দোয়েল পাখির ভূত বন্ধু
জাহান আরা খাতুন

চারপাশে শুধু সবুজ আর সবুজ। ছোট বড় টিলায় কত রকমের গাছ। কাছেই একটা ঝরনা, কী সুন্দর তিরতির করে বয়ে চলেছে। টুপলু মুগ্ধ চোখে অপলক চেয়ে থাকে। দেখে দেখে আশ আর মেটেনা। বাঁশ বনের ঝিরিঝিরি পাতার ফাঁকে সূর্যের আলো এসে সবুজ ঘাসে যেন ঝিলিমিলি আল্পনা এঁকে চলেছে। ও চোখ ফেরাতে পারেনা। এরমাঝেও বুকের ভেতর একটা ছটফটানি ভাব। এদিক ওদিক চায়, নাহ্ পাখিটাকেতো দেখা যায়না। কি হল ওর ? অসুখ-বিসুখ করেনিত ?
অমনি দূরে শোনা যায় মন জুড়ানো সেই শিস্। পাখিটা সাঁ করে উড়ে এসে একটা গাছের ডালে বসে। অদূরে একটা কাঁঠাল গাছের ঘন পাতার আড়ালে বসে টপলু হাঁপ ছেড়ে বাঁচে। যাক বাবা বাঁচা গেল ! এবার প্রাণভরে গান শোনা যাবে।
পাখিটা মাথা উঁচু করে লেজ দুলিয়ে আপন মনে গেয়েই চলেছে। কোনো বিরাম নেই। কী মধুর কণ্ঠ ! মোলায়েম মিহি সুর ! আহা! টপলুর সাথে সাথে সমস্ত গাছপালা, ঘাস, লতাপাতাও বুঝি চুপটি করে পাখির মিষ্টি গান শুনছে। পাখিটা দেখতে ছোট। গায়ে সাদা আর কালো রঙের বাহার চোখ জুড়িয়ে যায়। গলা, মাথা, বুক আর কপালে কুচকুচে কালো যেন ঝিলিক তোলে। ঠোঁট কালো, পেট সাদা। খাঁজকাটা ডানায় চিকণ চিকণ সাদা টান। পিঠে আর লেজে একটুখানি সাদা। লেজের নিচের রঙ আবার লালচে বাদামি। চোখের মণিজুড়ে পিঙ্গল রঙ ঝলমল করছে। সবমিলিয়ে কী সুন্দর পাখি ! দেখে দেখে টুপলুর আর মন ভরেনা। রোজই ভাবে কাছে গিয়ে ওর সাথে কথা বলবে কিন্তু পারেনা। ভয় আর লজ্জায় গুটিয়ে যায়।
সেদিন নিজেকে আর সামলাতে পারেনা। “যা হবার হবে। আজ ওর কাছে যাবই যাব।” ভাবতে ভাবতে ঠিক পাখির পাশের ডালে গিয়ে বসে। পাখি চমকে উঠে। গান থামিয়ে অবাক হয়ে ভাবে, “এটা আবার কে ? কোনোদিন দেখেছি বলেত মনে পড়েনা ? ও কোত্থেকে এখানে এল?”
টপলু ওর মনের কথা বুঝতে পেরে মিষ্টি হেসে বলে, “তুমি এত সুন্দর গান গাও ! আমি রোজই এসে তোমার গান শুনি। তোমাকে আমার খুব ভাললাগে। তুমি আমার বন্ধু হবে?”
পাখি কি বলবে ভেবে পায়না। এরকম কাউকেত সে কোনোদিন দেখেনি ! মাথাটা বেশ বড়, খাড়া খাড়া বাদামি চুল। মার্বেলের মতো গোল গোল লাল চোখ। সরু সরু হাত পা, তবে হাসিটা খুব মিষ্টি। আর গায়ে সবুজ পাতার একটা কেমন যেন জামা। তবু সবমিলিয়ে পাখির খুব একটা খারাপ লাগেনা। এছাড়া এসেই গানের কত প্রশংসা শুরু করল। প্রশংসা শুনতে কারনা ভাললাগে। পাখিরও মনটা আনন্দে ভরে উঠল। একটু নরম সুরে ওর নামকি ? বাড়ি কোথায় ? এসব জিজ্ঞেস করে। টপলুর জবাব শুনে পাখি তাজ্জব হয়ে যায়। কিছুক্ষণ মুখে কোনো কথা খুঁজে পায়না। এরপর খুব খুশি হয়ে বলে, “আমাদের দেশের বাচ্চারা তোমাদের গল্প শুনতেনা খুব ভালবাসে।” টপলুত অবাক ! “তাই নাকি ?”
হ্যাঁ ! সত্যি বলছি। জানো, তোমাদের নিয়ে কত গল্প, ছড়া, নাটক, এসব লেখা আছে। বাচ্চারা পড়তে খুব পছন্দ করে।”
শুনে টপলু খুশিতে হাততালি দিয়ে উঠে,” বাহ্ বেশ মজাত ! “আমিও বাচ্চাদের খুব পছন্দ করি।” পাখি শুনে খুশি হয়। তারপর বলে, “সবকিছুই বললে। কিন্তু তোমার বাবার নামটাতো বললেনা?”
“তাইত ! ভুলে গেছি বলতে। আমার বাবার নাম মামদো ভূত। আমি তার ছোট ছেলে।” পাখি বলে, “তোমার বাবার নাম আমার শিশু বন্ধুদের মুখে কত শুনেছি ! আচ্ছা টপলু, এতদিন তুমি আমার সামনে কেন আসনি ? কেন লুকিয়ে গান শুনতে ? সত্যি করে বলতো?”
টপলু নিচের দিকে তাকিয়ে কিযেন ভাবে। “কি হল ? কথা বলছনাযে ? এ্যাই টপলু ?” এবার টপলু করুণ চোখ তুলে মিনমিনে গলায় বলে, “আমিত দেখতে একটুও সুন্দরনা, আর তোমারমত গাইতেও পারিনা। তুমি যদি তাড়িয়ে দাও। ঘৃণায় মুখ ফিরিয়ে নাও এ ভয়ে আসিনি।” বলতে বলতে কান্নায় ওর গলা বুঁজে আসে। কথা শুনে পাখিরও খুব কান্না পায়। টপলুর জন্য কেমন যেন মায়া লাগে। আহা বেচারা ! ও টপলুকে জড়িয়ে ধরে মমতার সুরে বলে, “ধু-র বোকা। ঘৃণা করব কেন ? তোমাকে আমার ভাল লেগেছে। আজ থেকে আমরা দুজন বন্ধু হলাম। কি খুশিত ?”
টপলুর চোখ আনন্দে ঝলমলিয়ে ওঠে। বলে, “পাখি ভাই, তোমার কথা কিন্তু কিছুই জানা হল না। এবার বল শুনি”।
পাখি নাচে আর সুরে বলে,
“বাংলাদেশের জাতীয় পাখি, দোয়েল আমার নাম।
গায়ক পাখি বলেও আমার আছে অনেক দাম।
বনবনানী, পাহাড়, টিলা, শহর, নগর গাঁয়-
আমরা থাকি মনের সুখে বাসার নিরালায়।
গোসল করি নিয়মিত, পোকা মাকড় খাই-
তালের রস, মধু পেলে খুশির সীমা নাই।
গানের মত প্রিয় আমার আর কিছুযে নাই-
সারাটা দিন মনের সুখে কতযে গান গাই।”
খুশিতে টপলুর চোখে পলক পড়েনা। পাখি গান শেষে ওর হাত ধরে সবুজ ঘাসে বসে।
এভাবে আস্তে আস্তে দুজনের বন্ধুত্বটা বেশ জমে ওঠে। দুজনে মিলে কত গল্প, গান। টপলু প্রায়ই বলে, “তোমাদের দেশটা কতযে সুন্দর ! এত ফুল পাখি, পাহাড়, সমুদ্র, গাছপালা। অমন সুন্দর দেশ আমি আর কখনো দেখিনি।”
দোয়েলও দেশকে খুব ভালবাসে, প্রশংসা শুনে কলকলিয়ে উঠে, “কিরে? নদীর কথাযে বললিনা ? সেদিননা দেখিয়ে আনলাম।”
টপলু হেসে বলে, “আসলে কোনটা রেখে কোনটা বলব ভেবে পাইনা। নদীযে এত সুন্দর ! নৌকাগুলোত আরো সুন্দর ! বজরা, পানসি, ডিঙি জীবনে প্রথম দেখলাম। ”
“বাহ নৌকার নাম পর্যন্ত মনে রেখেছিস। তা এর আগে দেখিসনি এসব?” পাখি অবাক ! টপলু উদাস কণ্ঠে বলে, “আমাদের দেশেত কোনো নদী নেই।”
পাখি কোনো কথা খুঁজে পায়না !
ওর প্রিয় একটা গান একদিন পাখি খুব দরদ দিয়ে টপলুকে শোনায়,
“এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবেনাকো তুমি,
সকল দেশের রানি সে-যে আমার জন্মভূমি।”
টপলুর বুকের ভেতর একটা লুকানো ইচ্ছে তখন খুব আকুলি বিকুলি করতে থাকে।
কতদিন ভেবেছে বলবে। লজ্জায় পারেনি। আজ না বলে আর পারেনা, “পাখি ভাই, তুমি আমাকে গান শেখাবে ? আমারনা খুব গাইতে মন চায়।”
পাখিত অবাক, “গান শেখাব মানে ? গান আবার শিখতে হয় নাকি ? আমিত কোথাও শিখিনি।”
“তোমার দেশটাইত গানের দেশ, তুমি আবার কারো কাছে শিখবে কেন?”
টপলুর কথা শুনে পাখি অবাক হয়ে বলে, “বাহ কি সুন্দর একটা কথা বললি ! সত্যিরে তুই ঠিকই বলেছিস।”
টপলু এবার মিনতিভরা চোখ তুলে চায়। দেখে পাখির খুব মায়া লাগে। ওর থুতনি ধরে আদর করতে করতে বলে, “মন খারাপ করিসনা, তোকে আমি গান শেখাবই।”
এদিকে ভূতের গাঁয়ে মহা হইচই। ঘরে ঘরে আনন্দের ঢেউ। চিনি ভূত দুই বস্তা চিনি খেয়ে আরামের ঢেকুর তুলে খবরটা শুনে লাফিয়ে উঠে, ‘বলিসকি, এতবড় খুশির খবর।”
কাঁথাপেতিœ নিরালা পুকুর ঘাটে আপনমনে কাঁথা ধোয়ায় ব্যস্ত। তখুনি বাঁশ ভূতের ছোট মেয়ে আর শাকচুন্নির নাতনিরা ঐ কথাটাই বলাবলি করতে করতে ঘাটে আসে, “সত্যিরে ভূতের দেশে এরচে আনন্দের খবর আরকি হতে পারে।” বাঁশ ভূতের মেয়ের সাথে সবাই চিৎকার করে বলতে থাকে, “ঠিক, একদম ঠিক। ”
“ও কাঁথা নানি, খবর শুনেছ?”
নানি খেঁকিয়ে উঠে, “কাজের সময় বিরক্ত করিসনাত, যা তোরা।”
“আরে আগে কথাটা শুনেই দ্যাখনা….”
শুনে পেত্নি আনন্দে নাচতে নাচতে বলে, “এ তোরা কি শুনালি! এযে আমি ভাবতেও পারছি না ! কী মজা কী মজা”। এভাবে পাতা ভূত, পোকা ভূত, গেছো ভূত, সর্দি ভূত সবাই শুনে খুব খুশি, মহা খুশি। কথাটা আর কিছুটা। টপলু কোথা থেকে যেন গান শিখে এসেছে। বটগাছের ছায়ায় রোজ গানের আসর বসে। আর ভূতের বাচ্চারা নাওয়া-খাওয়া ভুলে মুগ্ধ হয়ে গান শোনে। বাতাসের সাথে খবরটা ছড়িয়ে গেলে বড়রাও আসরে আসতে থাকে। গাছের নিচে বসার আর জায়গা নেই। কেউ কেউ গাছের ডালে উঠে গান শুনে। ভূতেরাত কেউ গাইতে পারেনা। আর এত সুন্দর গান ওরা জীবনেও শোনেনি। ঘরে ঘরে টপলুর আদর সমাদর দিন দিন বাড়তেই থাকে।
মেছো ভূতের বউ একদিন বাড়িতে এসে হাজির, বুড়িটাকে দেখেই টপলুর রাগ দপদপিয়ে ওঠে। হাড় কিপটে, পাজির হাড্ডি, বজ্জাত কোথাকার! নাহয় টপলু ওর গাছের কটা আম সেদিন পাড়তে গিয়েছিল, তাই বলে এত গালাগালি? এত কিল? শেষপর্যন্ত কিনা আমগুলোও কেড়ে নিল! সেকি সহজে ভোলা যায়?
বুড়ির ডাকাডাকিতেও টপলু ঘর থেকে বের হয়না। রাগে ফুঁসতে থাকে। বুড়ি তখন ইনিয়ে বিনিয়ে মিনতি জানাতে থাকে,
“কইরে আমার প্রাণের দাদু লক্ষ্মী সোনা ভাই-
তোর মত আর সোনার ছেলে এই গেরামে নাই।
দেখতে এলাম তোরে আমি একটু কাছে আয়-
তোর গানেতে সত্যি আমার পরান ভরে যায়।”
এবার টপলুর মনটা নরম হতে শুরু করে। ঘর থেকে বেড়িয়ে এসে বলে, “কি, নানি, কেমন আছ?”
ওকে দেখেই বুড়ি এক পায়ে দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরে। আর মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে এক ঝুড়ি আম হাতে ধরিয়ে দেয়।
সেদিন শনিবার ভর দুপুরে তেঁতুলতলায় জরুরি মিটিং বসে। আর দেরি করা যায়না। টপলুর গায়ক বন্ধুকে এবার গাঁয়ে দাওয়াত দিয়ে আনতে হবে। দুইশ দশ বছর বয়সের তাল ভূতের এ প্রস্তাবে সব ভূতেরা খুশিতে চেঁচায়,
“আনন্দের আর সীমা নাই-
গায়ক বন্ধু দেখতে চাই।”
টপলু পরদিনই দোয়েলকে গিয়ে দাওয়াত পৌঁছে দেয়। দোয়েলত মহাখুশি, “ও-মা! আমাকে নিয়ে এত কান্ড! আমিত কিছুই টের পাইনি ! “টপলু মিটিমিটি হাসে।
ভূতদের গাঁয়ে ঢুকে পাখির বুকটা ধুকপুক করতে থাকে। গাঁয়ে তেঁতুল আর শ্যাওড়া ছাড়া আর কোনো গাছ নেই। ডালে ডালে ভূতদের ঘর। বস্তা ভূতরা অবশ্য গর্তে থাকে। কাদা ভূত সারাদিন কাদায় লুটোপুটি খায়। দেখে পাখি তাজ্জব। না জানি আরো কতকি দেখতে হবে। এমন সময় কে যেন চেঁচায়, “কোত্থেকেযে এটা এল ?
এত সাহস ক্যামনে পেল ?
চিমটি দেব খামছি দেব, মটকে দেব ঘাড়
আছাড় মেরে ভাংব মাথা
খাইয়ে দেব শ্যাওড়া পাতা।
আমার গাঁয়ে ঘুরে বেড়ায় সাধ্যি এমন করে ?”
পাখি থর থর করে কাঁপতে কাঁপতে টপলুর পেছনে গিয়ে লুকায়। টপলু দৌড়ে নখ পেতিœর কাছে যায়। সেদিনের মিটিং এর কথা মনে করিয়ে দিতেই বুড়ি আছাড়ি পিছাড়ি কাঁদতে থাকে। “হায় হায়রে ! কথাটাযে আমার মনে ছিলনা। এ আমি কি করলাম ! এর আগে আমার মরণ হলনা কেন…” বুড়ির বিলাপ শুনে পাখির ভয় কেটে যায়। কাছে গিয়ে হেসে বলে, “আমিত কিছু মনে করিনি। কান্না থামাও। এসো, এখনি গানের আসর বসবে।”
তিনদিন তিনরাত একটানা গানের আসর চলে। পাখি একের পর এক গাইতেই থাকে। ভূতেরা কেউ নাচে, কেউ হাততালি দেয়। কেউবা আবার খুশিতে ডিগবাজি খায়। সে এক এলাহি কা-।
ভূতেরা বড় বড় থালায় পাখির প্রিয় সব খাবার সাজিয়ে আনে। কীটপতঙ্গ, কেঁেচা, পিঁপড়া, ফড়িং, মধু। সর্দি ভূত বস্তা ভরে আনে রাজ্যের সব তেলাপোকা। এবার পাখি নিজেকে আর সামলাতে পারে না, চিৎকার করে বলে, “ইস কী মজা! আচ্ছা আমিযে তেলাপোকা খেতে এত পছন্দ করি তোমরা কী করে জানলে ?” ভূতেরা সবাই আনন্দে হাসে। কিন্তু কথা বলেনা।

পেট ভরে খেতে খেতে রাত প্রায় শেষ হতে চলেছে। পাখি ভাবে, আর না, এবার বাড়ি যেতে হবে। বাচ্চারা নাজানি কি করছে। ছোটটা আবার কান্নাকাটি করছে কিনা কে জানে। যাবার কথা বললে ভূতেরা মন খারাপ করে, “ও, গায়ক ভাই, আর দুটো দিন থেকে যাওনা ! আমরা…..”
পাখি বলে, “না ভাই আর থাকব না। তোমরা সবাই আমার বন্ধু হলে। মাঝে মাঝে এসে অবশ্যই গান শুনিয়ে যাব।” ভূতরা আনন্দে লাফায়, “কি মজা ! কি মজা !”
পাখি সবাইকে চুপ থাকতে ইশারা দিয়ে বলে, “এবার শেষ গানটা গাই। এটা আমার সবচেয়ে প্রিয় গান।” বলতে বলতে গলা ছেড়ে গান ধরে,
“আমার সোনার বাংলা
আমি তোমায় ভালবাসি”।

 

লেখক: জাহান আরা খাতুন, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, হবিগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ, হবিগঞ্জ।


[প্রিয় পাঠক, পাবলিক রিঅ্যাকশনের প্রায় প্রতিটি বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। আপনার অনুভূতির কথা আমাদের লিখে পাঠান। ছবিসহ মেইল করুন opinion2mail@gmail.com এই ঠিকানায়। যে কোনো খবর, ভ্রমণ, আড্ডা, গল্প, স্মৃতিচারণসহ যে কোনো বিষয়ে লিখে পাঠাতে পারেন। পাঠকের লেখা আমাদের কাছে সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ।]