কেমন গতিতে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’

:: পাবলিক রিঅ্যাকশন রিপোর্ট | পাবলিকরিঅ্যাকশন.নেট
প্রকাশ: ৬ মাস আগে

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ নিম্নচাপ দশা পেরিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে বলে সতর্ক করেছে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর।

বৃহস্পতিবার ভারতীয় এই সংস্থাটি তাদের এক বুলেটিনে বলা হয়েছে, সুস্পষ্ট লঘুচাপটি উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে হতে শুক্রবার সকাল নাগাদ নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এরপর আরো শক্তি সঞ্চয় করে শনিবার সকালের দিকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে । এরপর আরো শক্তিশালী হয়ে উত্তর দিকে এগিয়ে ২৬ মে সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে সেই ঝড়।

এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে ‘রেমাল’। নামটি দিয়েছে ওমান। আরবিতে এর অর্থ বালি।

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান একাত্তরকে লঘুচাপটি আরও ঘণীভূত হয়ে শুক্রবারের মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তিনি জানান, শনিবার নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, এখন পর্যন্ত যা দেখা যাচ্ছে তাতে যদি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয় তবে তা পশ্চিববঙ্গ, সুন্দরবন, পটুয়াখালীর দিকে যাওয়া সম্ভাবনা বেশি। শনিবার এটি আরও নিশ্চিতভাবে বোঝা যাবে।

ভারতের আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি) পূর্বাভাসে বলেছে, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানার সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আবহাওয়া দপ্তরে আগামী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপটি সামান্য উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।

এদিকে সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় আবহাওয়া অফিস উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা, ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থাকার পরামর্শ দিয়েছে।

পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত গভীর সাগরে না যেতে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।