২০২৩ সালে থ্রি ব্রাদারহুড এলায়েন্স গঠনের পর শুরু হওয়া “অপারেশন ১০২৭” এর মাধ্যমে সমন্বিত আক্রমণ শুরুর পর মিয়ানমার সেনাবাহিনী চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে ও চীন – মিয়ানমার সীমান্ত অঞ্চলে বেশ কিছু শহর ও সামরিক অবস্থানের পতন ঘটে। চীনের সীমান্ত অঞ্চলে চলা এই সংঘর্ষের কারনে সীমান্ত বাণিজ্যের উপর প্রভাব পড়ে ও চীন সীমান্ত অঞ্চলে সংঘাত বন্ধের জন্য চাপ সৃষ্টি করে।
মিয়ানমারের সংঘাত চীন সীমান্ত থেকে দূরে রাখাই চীনের মূল লক্ষ্য, যদিও চীন প্রাথমিকভাবে ‘অপারেশন ১০২৭’ সমর্থন করেছে বলে অনেকে মনে করে। সেসময় কোকাং অঞ্চলে মিয়ানমারের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী সাইবার কেলেঙ্কারির মাধ্যমে চীনা নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছিল এবং এমএনডিএএ তাদেরকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে সংঘাত বাড়তে থাকায় চীনের মধ্যস্থতায় সহিংসতা বন্ধে থ্রি ব্রাদারহুড এলায়েন্স এবং মিয়ানমার সরকারের মধ্যে ১০ জানুয়ারি থেকে উত্তর-পূর্ব শান রাজ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
মিয়ানমার সেনাবাহিনী এই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে বোমাবর্ষণ করার পর ব্রাদারহুড জোটের সদস্য তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি ২৫ জুন থেকে পুনরায় সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। চলমান আক্রমনের মুখে চীন-মিয়ানমার সীমান্ত অঞ্চলে মিয়ানমার সেনাবাহিনী কোণঠাসা হয়ে পড়ে। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে সেপ্টেম্বর মাসে মিয়ানমারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল টিন অং সান চীন সফর করে ড্রোন ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে চীনের সহায়তা চায় এবং আন্তঃসীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করে। এর আগে মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার পায়ে’র চীন সফরের সময় চীন মিয়ানমারকে ৭ লাখ ডলারের সামরিক সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি চীন ও মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেয়।
চীন, মিয়ানমার সামরিক জান্তার প্রধান মিত্র এবং অস্ত্র সরবরাহকারী। চীন তার বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কাঠামোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চল নিয়ন্ত্রণকারী জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির সাথেও সুসম্পর্ক রাখে। জুন মাসে চীন মিয়ানমার সীমান্ত অঞ্চলে পুনরায় সংঘর্ষ শুরু হলে চীন যুদ্ধ বিরতির জন্য সশস্ত্র দলগুলোকে চাপে রাখে। অক্টোবরে মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি জান্তার সাথে যুদ্ধ বন্ধের আলোচনায় রাজি হয়। ব্রাদারহুড এলায়েন্সের আরেকটি প্রধান দল তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি চীন – মিয়ানমার সীমান্তে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে এক বছর ধরে লড়াই চালিয়ে যাবার পর চীনের সমর্থনে বিমান হামলা বন্ধের শর্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধ বিরতির আলোচনার জন্য প্রস্তুত বলে জানায়। ২০২১ সাল থেকে চলমান সাড়ে তিন বছরের তীব্র সংঘাতের পর মিয়ানমার সরকার সেপ্টেম্বরে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সংঘাত বন্ধ ও শান্তি আলোচনা শুরুর আহ্বান জানায়। সশস্ত্র সংগ্রাম বাদ দিয়ে টেকসই শান্তি ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠা করাই এ সংলাপের লক্ষ্য। মিয়ানমার সরকার ২০২৫ সালে নির্বাচনের পরিকল্পনা করছে। চীন মিয়ানমারের এই নির্বাচন অনুষ্ঠানের জান্তার প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে। জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর প্রথমবারের মত চীন সফরের সময় চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সাথে এই দুই গোষ্ঠীর বিষয়ে শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করে। মিয়ানমারের স্থিতিশীল অবস্থা চীনের স্বার্থরক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং চীন মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলে জানায়। চীন মিয়ানমারে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী এবং মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাত বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের জন্য সহায়ক নয়।
মিয়ানমার চীনের ১ ট্রিলিয়ন ডলারের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের’ গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। চীন রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিতওয়ে থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে চকপিউ গভীর সমুদ্র বন্দর এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণে এই বিনিয়োগ করছে। ১৭০০ কিলোমিটার দীর্ঘ চিন-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোরের চকপিউ বন্দরকে চিনের কুনমিং শহরের সাথে যুক্ত করে। অর্থনৈতিক করিডোরটি চীনকে কৌশলগতভাবে মালাক্কা প্রণালীকে এড়িয়ে ভারত মহাসাগরে সরাসরি প্রবেশের সুযোগ করে দেয়। মিয়ানমারের অস্থিতিশীল সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলগুলির উপর দিয়ে এই প্রকল্প চলে গেছে। মিয়ানমারে চীনের কৌশলগত স্বার্থের পাশাপাশি প্রায় ২১ বিলিয়ন ইউরো সমপরিমাণ বিনিয়োগ রয়েছে। চীন ভারত মহাসাগরে তার কৌশলগত প্রবেশাধিকার এলাকা যুক্তরাষ্ট্র বা বাহিরের যে কোন প্রভাব থেকে মুক্ত রাখতে এই অঞ্চলের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায়।
ব্রাদারহুড এলায়েন্সের তৃতীয় দল আরাকান আর্মি এখনও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। রাখাইন অঞ্চলে চীনের অর্থনীতিক ও ভুরাজনৈতিক স্বার্থ রয়েছে। এই অঞ্চলের উপর দিয়ে চীনের তেল ও গ্যাস পাইপ লাইন গিয়েছে ও চীনের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠছে। এছাড়াও এই অঞ্চল চীনের বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরে প্রবেশ পথ। চীনের বেল্ট এন্ড রোড ইনিসিয়েটিভ বাস্তবায়নেও রাখাইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার সেনাবাহিনী এ পর্যন্ত চীনের কোন স্থাপনায় আঘাত করেনি। চীন তার অর্থনৈতিক বিনিয়গের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার সরকারের সাথে সম্পর্ক রাখছে। মিয়ানমারের সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে চীনের স্বার্থ নিশ্চিতে নভেম্বর মাসে চীন ও মিয়ানমার সরকার একটি ‘যৌথ নিরাপত্তা কোম্পানি’ গঠনে সহযোগিতার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা যায়। চীনা মালিকানাধীন ব্যবসা এবং অবকাঠামো রক্ষার জন্য এই নিরাপত্তা কোম্পানির কর্মীরা কাজ করবে।
ভারত সরকার রাখাইনে ২০০৯ সালে শুরু হওয়া কালাদান মাল্টি-মোডাল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সিতওয়ে বন্দর, পালেতওয়া অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন টার্মিনাল, এবং পালেতওয়া-মিজোরাম মহাসড়ক এই প্রকল্পের অন্তর্গত। ভারত এই প্রকল্পে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। ভারত আরাকান আর্মির সাথে আলোচনার মাধ্যমে প্রকল্পটি পুনরুজ্জীবিত করতে আগ্রহী। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ভারত আরাকানে চীনের উপস্থিতি ঠেকাতে এবং ভারত মহাসাগর নিয়ন্ত্রণে চকপিউ গভীর সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করতে আগ্রহী। নভেম্বরের শুরুতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আলাদাভাবে জাতীয় ঐক্য সরকার, আরাকান আর্মি, চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট এবং চিন ব্রাদারহুডের সঙ্গে সীমান্ত বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। আরাকান আর্মির সাথে ভারতের সম্পর্কের টানা পোড়েন থাকলেও তাদের এই আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানা যায়। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স এই উদ্যোগ নেয়। ভারত প্রথমবারের মত মিয়ানমারের বিদ্রোহী গুষ্টিগুলোর সাথে শান্তি স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা করল, যা চীন সবসময় তার স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য করে আসছিল।
রাখাইন অঞ্চলে চীনের স্বার্থ নিশ্চিত করতে এই অঞ্চলে শান্তি স্থাপন জরুরী এবং এই রাজ্যের আর্থসামাজিক উন্নয়ন দরকার। রাখাইন মিয়ানমারের অনুন্নত প্রদেশগুলোর মধ্যে একটি। এখানে উন্নয়নের দরকার এবং প্রচুর সুযোগ আছে, অথচ বছরের পর বছর ধরে এখানে সংঘাত ও জাতিগত বিদ্বেষের বিষ ছড়ানো হয়েছে। রোহিঙ্গারা এই অঞ্চল থেকে বিতাড়িত এবং এখন পর্যন্ত তাদের প্রত্যাবাসনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। চীনের উদ্যোগে নেয়া পাইলট প্রকল্পও সফলতার মুখ দেখছে না। রাখাইনের জনগনের মধ্যে শিক্ষা বিস্তার ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন হলে রোহিঙ্গা ও রাখাইনদের মধ্যেকার পারস্পরিক সম্প্রীতি বাড়বে ও বিদ্বেষ কমবে। এর ফলে এই অঞ্চলে উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সামরিক জান্তা ও আরাকান আর্মির মধ্যে সহিংসতা বৃদ্ধির কারনে রোহিঙ্গারা রাখাইনে উভয়পক্ষের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে। রাখাইনের চলমান সংঘাতময় পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করছে এবং বাংলাদেশে অবস্থানকারী রোহিঙ্গাদের চলমান ত্রান সহায়তা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির উপর চাপ ফেলছে। বাংলাদেশের সাথে আরাকান আর্মির কোন সমস্যা নাই। বাংলাদেশ রাখাইন পরিস্থিতি ও রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আরাকান আর্মির সাথে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করতে পারে। আরাকান আর্মি বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ থেকে দ্রুত সময়ে তাদের প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য সহায়তাও পেতে পারে। রাখাইনের উন্নয়নের চাকা ত্বরান্বিত করতে হলে রোহিঙ্গা রাখাইন সংঘাত বন্ধ করে সম্প্রীতি এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম বাড়াতে হবে। দীর্ঘ সাত বছরেও রাখাইন রোহিঙ্গা সম্পর্কে উল্লেখ করার মত অগ্রগতি হয়নি। রাখাইনের ভবিষ্যৎ উন্নতির জন্য আরাকান আর্মির উচিত রোহিঙ্গাদের অধিকার পুনরুদ্ধার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করে রাখাইনের স্থানীয় নাগরিক হিসেবে তাদেরকে বৃহত্তর রাজনীতিতে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া।
আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার জান্তা উভয়ের কাছে চীনের গ্রহণযোগ্যতা সুবিদিত। তাই চীন তার নিজস্ব অর্থনৈতিক ও ভুকৌশলগত স্বার্থ রক্ষায় মিয়ানমারে শান্তি স্থাপনে অগ্রণী ভুমিকা রাখতে পারে। রাখাইন মিয়ানমারের অর্থনৈতিক ভাবে অনুন্নত রাজ্যগুলোর মধ্যে একটি। এই অঞ্চলে চীন ও ভারতের বিশাল বিনিয়োগ রয়েছে। রাখাইনের জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন না হলে এই অঞ্চলে সংঘাত বন্ধ হবে না। রাখাইন অঞ্চলে চীনের পাশাপাশি বর্তমানে ভারতও তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এই দুই আঞ্চলিক শক্তির পাশাপাশি এই অঞ্চলের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিও রয়েছে। এ থেকে বুঝা যায় যে রাখাইন অঞ্চলে শক্তিধর দেশগুলো তাদের নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে চেষ্টা চালিয়ে যাবে এবং এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার উপর এর প্রভাব পড়বে। রোহিঙ্গা সংকট দীর্ঘায়িত হওয়ার কারনে এই অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উপর চাপ পড়ছে।
চীনের সাথে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সুসম্পর্ক রয়েছে। চীনের উদ্যোগে মিয়ানমার রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করলেও চলমান সংঘাতের কারনে এই উদ্যোগ থেমে যায়। রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের জন্য চীন বাংলাদেশে অবস্থানকারী রোহিঙ্গা ও মিয়ানমারে রাখাইনদেরকে প্রশিক্ষণ প্রদান করে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুললে তারা রাখাইনের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে। একটা বিশেষ বিনিয়োগ পরিকল্পনার মাধ্যমে চীন বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদেরকে আত্মকর্মসংস্থানের জন্য প্রশিক্ষিত করতে পারে এবং পাশাপাশি রাখাইনের জনগণকেও এই প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসতে পারে। এর ফলে উভয় জনগোষ্ঠী সংঘাত থেকে সরে আসবে ও জাতিগত বিদ্বেষ প্রশমিত হবে। এই প্রশিক্ষিত জনবল চীনের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলেও কাজ করতে পারবে এবং এই উদ্যোগ থেকে চীন দীর্ঘ মেয়াদে লাভবান হবে। রাখাইনে চলমান সংঘাত ও রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হলে পুরো অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে এবং চীনের অর্থনৈতিক ও ভু-কৌশলগত স্বার্থ নিশ্চিত হবে।
লেখক: ব্রি. জে. (অব.) হাসান মো. শামসুদ্দীন, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, এম ফিল। মিয়ানমার ও রোহিঙ্গা বিষয়ক গবেষক।
[প্রিয় পাঠক, পাবলিক রিঅ্যাকশনের প্রায় প্রতিটি বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। আপনার অনুভূতির কথা আমাদের লিখে পাঠান। ছবিসহ মেইল করুন opinion2mail@gmail.com এই ঠিকানায়। যে কোনো খবর, ভ্রমণ, আড্ডা, গল্প, স্মৃতিচারণসহ যে কোনো বিষয়ে লিখে পাঠাতে পারেন। পাঠকের লেখা আমাদের কাছে সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ।]