উত্তর-পশ্চিম চীনের সিনচিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের পামির মালভূমিতে ৫০০ মিলিমিটার-ক্যালিবার অ্যান্টেনাসহ একটি লেজার যোগাযোগ গ্রাউন্ড সিস্টেম সফলভাবে স্থাপন করেছে চীন। রোববার এ স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়।
চাইনিজ একাডেমি অব সায়েন্সেসের অ্যারোস্পেস ইনফরমেশন রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এআইআর) নির্মাণ করেছে সিস্টেমটি। এতে করে এখন থেকে আর স্যাটেলাইটের তথ্য গ্রহণের জন্য শুধু মাইক্রোওয়েভ গ্রাউন্ড স্টেশনগুলো ওপর নির্ভর করতে হবে না। এতে করে বড় আকারের স্যাটেলাইট ডেটা ট্রান্সমিশনের সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
চীনের মহাকাশ প্রযুক্তি যত এগোচ্ছে তত বাড়ছে স্যাটেলাইটে উৎপন্ন তথ্যের পরিমাণ। এআইআর-এর একজন জ্যেষ্ঠ প্রকৌশলী লি ইয়ালিন বলেছেন, তাৎক্ষণিকভাবে বিপুল পরিমাণ ডেটা প্রেরণে এতদিনকার অক্ষমতার কারণে চীনের মহাকাশ সম্পদের সঠিক ব্যবহার হচ্ছিল না।
স্যাটেলাইট-টু-গ্রাউন্ড লেজার যোগাযোগে ব্যবহৃত বর্ণালীর বিস্তৃত ব্যান্ডউইথ রয়েছে, যা মাইক্রোওয়েভের তুলনায় ১০ থেকে এক হাজার গুণ বেশি। নতুন যন্ত্রাংশগুলো হালকা, ছোট এবং শক্তি খরচ কম হয়।
পামির মালভূমিতে মাউন্ট মুজগাটা অঞ্চলের বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থা বেশ উপযুক্ত। এখানকার আকাশ পরিষ্কার এবং এখানে বৃষ্টিপাত কম হয়। বছরের সবসময়ই এখানকার ভূমি থেকে মহাকাশে লেজার যোগাযোগ করা যাবে।
এখানকার স্থাপনাগুলো সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে চার হাজার ৮০০ মিটার ও তিন হাজার ৩০০ মিটার উপরে নির্মিত। সিস্টেমটি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে দূর থেকে।
সম্প্রতি, প্রকল্প দল সফলভাবে স্পেস-গ্রাউন্ড লেজার যোগাযোগের প্রথম অপারেশনাল পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে।
সূত্র: চায়না মিডিয়া গ্রুপ