দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন বিষয়ে কথা বললেন মাগুরা-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।
আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি তার অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
আজ শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়েছিলেন মাগুরা-১ আসনের নৌকার প্রার্থী সাকিব আল হাসান।
বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে তিনি কমিটি প্রধান মাগুরার বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সত্যব্রত শিকদারের খাস কামরায় হাজির হয়ে লিখিত জবাব দেন।
পরে সাংবাদিকদের সাকিব আল হাসান বলেন, যাকে জবাব দেওয়ার কথা তাকে জবাব দিয়ে এসেছি। আসলে তো সব সময় ক্যামেরার সামনে বলা যায় না। প্রথমবার যেহেতু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। তো স্বাভাবিকভাবে আমার কিছু ভুলত্রুটি হতেই পারে আমার অজান্তে। সেই ভুলগুলো সংশোধন করা আমার দায়িত্ব। যখন আমি নির্বাচনী নিয়মকানুন পড়ব -জানব-বুঝব, তারপর যদি হয় সেটা আমার দোষ হতে পারে। এখন যেটা হয়েছে সেটা অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল। আগামীতে যাতে এই বিষয়ে যাতে ভুল না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখব।
এ বিষয়ে সাকিবের আইনজীবী সাজেদুর রহমান সংগ্রাম বলেন, ২৯ নভেম্বর সাকিব আল হাসান মাগুরায় আসেন। তখন কামারখালী এলাকায় তার ভক্ত ও উৎসুক জনতা জমা হয়। সেখানে ভক্ত ও সাধারণ জনতা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়। সেখানে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না কিংবা দলীয় কাউকে তিনি ডাকেননি। আমরা নোটিশের জবাবে এসব কথা উল্লেখ করেছি। ভবিষ্যতে আমরা এসব বিষয়ে সতর্ক থাকব। আইন মেনে চলব।
বৃহস্পতিবারের ওই নোটিশে বলা হয়, ‘আপনি সাকিব আল হাসান, মাগুরা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার পর ২৯ নভেম্বর ঢাকা থেকে মাগুরা আগমনের সময় পথে কামারখালী এলাকা থেকে শোডাউন করে গাড়িবহর নিয়ে মাগুরা শহরে প্রবেশ করেন। তাতে জনগণের চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। যা গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশিত হয়েছে। এটির মাধ্যমে আপনি সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০০৮ এর ৬ (ঘ), ৮ (ক) , ১০ (ক) এবং ১২ ধারার বিধান লঙ্ঘন করেছেন। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে আপনার বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না – সে বিষয়ে ১ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকাল ৩টায় অত্র কার্যালয়ে সশরীরে হাজির হয়ে লিখিত জবাব দেওয়ার জন্য আপনাকে বলা হলো।