তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে সরে নির্বাচনে অংশ নিতে ‘যুক্তফ্রন্ট’ নামের নতুন জেট গঠন করার আগেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কাছে ১১টি সংসদীয় আসনের চাহিদাপত্র দিয়েছিল কল্যাণ পার্টি।
বুধবার (২২ নভেম্বর) মুসলীম লীগ (বিএমএল) ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি নিয়ে ‘যুক্তফ্রন্ট’ গঠন করেছে কল্যাণ পার্টি।
এই জোট গঠনের ঘোষণার দুই দিন আগেই রোববার (১৯ নভেম্বর) রাজধানী ঢাকার একটি অভিজাত ক্লাবে ক্ষমতাসীন দলের দায়িত্বশীল দুই নেতার সঙ্গে বৈঠক করে এই চাহিদাপত্র দেয় কল্যাণ পার্টি।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক তথ্যে এসব জানা গেছে।
সেখানে ১১ জনের তালিকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যাতে সময় উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯ নভেম্বর ২০২৩, বিকেল সোয়া ৪টা।
তালিকায় দলটির প্রতিষ্ঠাতা মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম (বীর প্রতীক) পছন্দের তিনটি আসনের কথা জানিয়েছেন।
আসনগুলো হলো – চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী), কক্সবাজার-১ (চকরিয়া) এবং ঢাকা-১০। এর মধ্যে যেকোনো একটি আসনে নির্বাচন করতে চান কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান।
তালিকায় আরও আছেন আব্দুল আউয়াল মামুন।
তিনি কক্সবাজার-১ অথবা ঢাকা-৪ আসনের প্রার্থীতা চান। আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকিব চেয়েছেন ঢাকা-৪ অথবা ঢাকা-৫ আসন।
প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী আরও যারা আসন চেয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন মো. ফরহাদ (লক্ষ্মীপুর-২), ওবায়দুল হক সিরাজি (ফেনী-১), বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইলিয়াস (চট্টগ্রাম-৯), জাহিদুর রহমান (মুন্সিগঞ্জ-১), শাহানা সুলতানা শীলা (রাজশাহী-৬), সাহিদুর রহমান তামান্না (কুমিল্লা-৬), নজরুল ইসলাম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪) ও মফিজউদ্দিন (কুমিল্লা-৮)।
এবিষয়ে কল্যাণ পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। আমরা আসন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।’
গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘যুক্তফ্রন্ট’ গঠনের কথা জানিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান ইবরাহিম। আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, নির্বাচনে ১০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি আছে যুক্তফ্রন্টের।
সৈয়দ ইবরাহিমের কল্যাণ পার্টি এতদিন বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী ছিল। তবে হঠাৎ করে নিজের অবস্থান পরিবর্তন করে সৈয়দ ইবরাহিম জানান, তিনি সরকারের সঙ্গে আর পেরে উঠছেন না।
পরে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এবং আমার নেতাকর্মীরা কষ্ট করে রাজনীতিটাকে টিকিয়ে রেখেছি। আমাদের টিকে থাকার একটা সীমা আছে। আমার এই মুহূর্তের রাজনৈতিক অক্ষমতা হচ্ছে, এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আর পেরে উঠছি না।’
সৈয়দ ইবরাহিম আরও বলেন, ‘২৮ অক্টোবরের পর একটা সুনির্দিষ্ট অবস্থা এসে দাঁড়িয়েছে। আমাকে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে- আমি কি নিশ্চুপ থাকব নাকি বিকল্প পন্থা অবলম্বন করব। আমি বিকল্প পন্থা নিলাম। কারণ, আমার যে কথাগুলো বলার জায়গা নাই সেটা সংসদে বলব।’