পরের ঘূর্ণিঝড়টির নাম কী, জেনে নিন

:: পাঁচ ফোড়ন ডেস্ক | পাবলিকরিঅ্যাকশন.নেট
প্রকাশ: ১ বছর আগে
সংগৃহীত ছবি

দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ অবস্থান করছে। বঙ্গোপসাগরে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যা আগামী ২৯ নভেম্বর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে বাংলাদেশে আঘাত হানার আশঙ্কা প্রবল বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ ও জলবায়ু গবেষকরা। আসন্ন ঘূর্ণিঝড়টির নাম রাখা হয়েছে মিচাং।

সাইক্লোনের ঝড়ের নামকরণের ক্ষেত্রে ওয়াল্ড মেটোরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএমও) পৃষ্ঠপোষকতায় কিছু অঞ্চল ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলো মিটিংয়ের মাধ্যমে ঝড়গুলোর নাম ঠিক করে থাকে।

আঞ্চলিক আবহাওয়া সংস্থার (আরএসএমসি) সঙ্গে সমন্বয় করে ২০০৪ সাল থেকে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের উপকূলবর্তী দেশগুলোয় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ শুরু করে। আরএসএমসি তার সদস্য দেশগুলোর কাছ থেকে নামের তালিকা চেয়ে থাকে। তালিকা পেলে দীর্ঘ সময় যাচাইবাছাই করে সংক্ষিপ্ত তালিকা করে ডব্লিউএমওর কাছে পাঠায়।

এ অঞ্চলে আরএসএমসির সদস্য রয়েছে বাংলাদেশসহ ১৩টি দেশ। বাকি ১২টি দেশ হলো ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, আরব আমিরাত ও ইয়েমেন।

নতুন লঘুচাপ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যা ঘনীভূত হয়ে আগামী তিন দিনে নিম্নচাপ ও পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। বাংলাদেশে আঘাত হানবে কি না, তা ঘূর্ণিঝড়ের গতি-প্রকৃতি দেখে পরবর্তীতে জানা যাবে। ’

নিম্নচাপের প্রভাবে আগামী শনিবার থেকে সারা দেশের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বুধবার (২২ নভেম্বর) আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী তিন দিন সারা দেশে আংশিক মেঘলা আকাশ ও আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে।

বুধবার রাতের তাপমাত্রা সারা দেশে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমার সম্ভাবনা ছিল। বৃহস্পতিবার এবং পরদিন শুক্রবার আবহাওয়া প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। শনিবার থেকে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।

আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপটি আগামী ২৬ নভেম্বর সৃষ্টি হতে পারে। যা ২৯ নভেম্বরের মধ্যে নিম্নচাপ হয়ে ঘূর্ণিঝড় মিচাং সৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে। এই ঘূর্ণিঝড়টি বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর ওপর দিয়ে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ইন্টিগ্রেটেড পথকস্ট সিস্টেম নামক আবহাওয়া মডেলের পূর্বাভাস বিশ্লেষণে এমন তথ্য দেখা গেছে।

আবহাওয়াবিদরা জানান, বৃহস্পতিবার থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সব জেলায় মাঝারি মানের কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলোর ওপর কুয়াশার আধিক্য থাকবে।

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকায় আগামী শনিবার থেকে দেশের তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যেতে পারে। আবার ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাতেরও সম্ভাবনা রয়েছে।

বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সীতাকুণ্ডে ৩১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।