ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় গাড়ি পার্কিংয়ে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে এবং গাড়ি পার্কিং সুবিধায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ‘স্মার্ট অন স্ট্রিট পার্কিং’ চালু করেছে ডিএনসিসি।
বুধবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসির নগরভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ডিএনসিসি স্মার্ট অন স্ট্রিট পার্কিং মোবাইল অ্যাপ উদ্বোধন করা হয়।
যেখানে সেখানে অবৈধ পার্কিং বন্ধ করতে এবং নিরাপদ পার্কিং নিশ্চিত করতে পরীক্ষামূলকভাবে ‘স্মার্ট অন স্ট্রিট পার্কিং’ চালু করেছে ডিএনসিসি।
গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপ স্টোর থেকে ডিএনসিসি স্মার্ট পার্কিং নামের এই পার্কিং অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে। পরীক্ষামূলকভাবে গুলশান এলাকার আটটি বিভিন্ন সড়কে ২০২টি স্পটে স্মার্ট পার্কিং চালু করা হয়েছে।
ডিএনসিসি স্মার্ট পার্কিং ফি কত?
কার, জিপ, মাইক্রোবাসের জন্য প্রথম ২ ঘণ্টা ৫০ টাকা, পরবর্তী ঘণ্টা অর্থাৎ ৩য় ঘণ্টা ৫০ টাকা এবং ৪র্থ ঘণ্টা থেকে প্রতি ঘণ্টার জন্য ১০০ টাকা গুনতে হবে এই অ্যাপ ব্যবহার করে পার্কিং ব্যবহারকারীকে।
অন্যদিকে মোটরসাইকেলের জন্য প্রথম ২ ঘণ্টা ১৫ টাকা, পরবর্তী ঘণ্টা অর্থাৎ ৩য় ঘণ্টা ১৫ টাকা এবং ৪র্থ ঘণ্টা থেকে প্রতি ঘণ্টার জন্য ৩০ টাকা করে নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পার্কিং ফি প্রযোজ্য হবে। রাত ১০টার পর থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত পার্কিংয়ের জন্য কোনো ফি লাগবে না। সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার ও অন্যান্য সরকারি ছুটির দিন পার্কিং সম্পূর্ণ ফ্রি করা হয়েছে।
কোথায় কোথায় পাওয়া যাবে সেবাটি
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কর্তৃক প্রাথমিকভাবে ৬ মাসের জন্য গুলশান এলাকায় গাড়ি পার্কিং কার্যক্রম মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে পরিচালনার জন্য পাইলটিং কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
পাইলটির এর জন্য গুলশান এলাকার সড়ক নং –৫২, ৫৮, ৬২, ৬৩, ৬৪, ১০৩, ডিআইটি সার্কুলার রোড, গুলশান ২ ইনার সার্কুলার রোডে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য সড়কে প্রয়োজনীয় রংকরণসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশসহ মাঠ পর্যায়ে আলোচ্য পাইলটিং কার্যক্রমটি তদারকি করা হবে। পাইলটিং কার্যক্রমের ফলাফলের ভিত্তিতে ভবিষ্যতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার আরও ২৯টি স্থানে এই কার্যক্রমটি বাস্তবায়ন করা হবে।
পাইলটিং কার্যক্রম ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং এলওসিসি যৌথ সমন্বয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। নির্ধারিত স্থানে গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি কার পার্কিং স্থানের সন্নিকটে ওয়ার্ডেন নিয়োজিত করা হবে।
পার্কিং বরাদ্দ কার্যক্রম অ্যাপসের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে। অ্যাপসে প্রাথমিকভাবে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন শেষে গাড়ির ড্রাইভার পার্কিং স্পটের ১০০ মিটারের মধ্যে আগমন করে গাড়ি পার্কিং করতে হবে। গাড়ির পার্কিংয়ের জন্য পেমেন্ট ব্যবস্থা ডিজিটাল করা হয়েছে। পিওসি এর মাধ্যমে অনগ্রাউন্ডে পেমেন্ট করা যাবে।