টেনশনে আওয়ামী লীগ-বিএনপি

::
প্রকাশ: ১ বছর আগে
সংগৃহীত ছবি

আগামী ২৮ অক্টোবর ঘিরে স্নায়ু চাপে আছে বড় এই দুই রাজনৈতিক দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। যদিও বিএনপি নেতাদের দাবি, ক্ষমতাসীনরাই ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আছে। তবে আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, জনগণই তাদের শক্তি। রাজপথে পরীক্ষিত দল তারাই।

রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, তৃণমূলের কর্মীরা নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলেই হতে পারে সংঘর্ষ। তাই সে দিকে পুলিশকে বিশেষ নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

২৮ অক্টোবর ঘুরে ফিরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি আলোচিত তারিখ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবারও এই দিনকে ঘিরে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। একইভাবে দুদল মুখোমুখি হয়ছিল ১৭ বছর আগে। ওই দিনের মারামারি-বিশৃঙ্খলায় কপাল পোড়ে রাজনীতিবিদদের। রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে সামরিক বাহিনী। এবার কী ঘটবে? এ নিয়ে জনমনে নানা জল্পনা-কল্পনা।

ক্ষমতা নাকি জনগণের জানমালের নিরাপত্তা- কোনটা বড়? আন্দোলনের নামে কোনো নাশকতা নয় তো? অস্বাভাবিক কোনো পরিস্থিতির সুযোগ নেবে কি তৃতীয়পক্ষ। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ক্ষমতা হারানোর ভয়ে টেনশনে আছে আওয়ামী লীগ।

দেড় দশক ধরে ক্ষমতার মসনদে আওয়ামী লীগ। সেই ২০০৮ থেকে সবশেষ ২০১৩ তে হেফাজতকাণ্ড আর ২০১৪ নির্বাচনের আগে ও পরে বিএনপি-জামায়াত জোটের টানা অবরোধ। সবকিছু মোকাবিলা করেই এখনো ক্ষমতায় দেশের স্বাধীনতায় নেতৃত্ব দেওয়া আওয়ামী লীগ।

অতীতে এসব সাফল্য থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে দলটির নেতারা বলছেন, এবারও ব্যর্থ হবে বিএনপি ও তার মিত্রদের আন্দোলন। দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বিএনপি এবারও ব্যর্থ হবে। আগামী ২৮ অক্টোবর সারাদেশ থেকে সন্ত্রাসী এনে ঢাকায় বিশৃঙ্খলা করলে কঠোর হাতে দমন করা হবে। ওই দিন কাউন্সিলরদের নিজ নিজ এলাকায় পাহারা বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতার আসার আগে ২০০৬ সালে রাজনীতি যেখানে ঘুরপাক খাচ্ছিল- এবারও অনেকটা একই বৃত্তে এবং একই স্থানে রাজনীতি। দুই দলের পরস্পরবিরোধী অবস্থান ও রণ প্রস্তুতি অনেকটা উত্তপ্ত করছে পরিস্থিতিকে।

বিষয়টি নিয়ে কথা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ এবং সাবেক আমলা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আবু আলম শহীদ খানের সঙ্গে। তারা জানান, এই পরিস্থিতিতে যেকোনো সংঘাতে জড়াতে পারে দুই দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। সরকার ও বিরোধীদের আন্দোলনের তৃতীয় পক্ষ যাতে ঘি ঢালতে না পারে সেদিকেও নজর রাখতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।