বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) সরকার নির্ধারিত ১২ টাকা দামে ডিম বিক্রি শুরু করেছে। সোমবার দুপুরে ট্রাকে ডিম বিক্রি কার্যক্রম উদ্ধোধন করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান।
শিগগিরই রাজধানীর ১৫-২০টি স্থানে খোলা বাজারে এই দরে ডিম বিক্রি শুরু হচ্ছে বলে বিপিএ থেকে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন জানায়, বাজারে মধ্যস্বত্যভোগীদের প্রভাব কমিয়ে স্মার্ট পোল্ট্রি শিল্প গড়ার অংশ হিসেবে ভোক্তার কাছে সবরাসরি ডিম বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সফিকুজ্জামান বলেন, গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিটি ডিমের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরে অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। তবে গত ৮-১০ দিন ধরে ডিমের দাম আবারও বাড়ে। এ সময় বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন সরকার ঘোষিত দামে ডিম খোলা বাজারে বিক্রির প্রস্তাব দেয়। এক্ষেত্রে অধিদপ্তরের সহযোগিতা চাওয়া হয়।
সফিকুজ্জামান আরও বলেন, বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই সময়ে ভোক্তাদের সুবিধার কথা চিন্তা করে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের এরকম মানবতামূলক উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। ডিম উৎপাদনের বড় কোম্পানিগুলোও যাতে এ কার্যক্রম চালু করে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষ ডিম কিনে কিছুটা স্বস্তি পাবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পোল্ট্রি মালিকেরা সরাসরি ভোক্তার কাছে ডিম বিক্রি করলে উভয়ে লাভবান হবেন। কারণ এতে মধ্যস্বত্যভোগীদের দৌরাত্ম্য থাকছে না। ফলে খামিরা যেমন প্রকৃত দামের চেয়ে বেশি পাবেন। অপরদিকে ভোক্তাও নির্ধারিত দামে ডিম কেনার সুযোগ পাবে।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, ভোক্তাদের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই তাঁরা এই উদ্যোগ নিয়েছেন। এতে খামারি ও ভোক্তারা লাভবান হবেন।
শিগগিরই রাজধানীর হাতিরপুল, শান্তিনগর বাজার, মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজার, কৃষি মার্কেট, শ্যামলী, গুলশান নতুন বাজার, সেগুনবাগিচা, সচিবালয়, উত্তরবাড্ডা বাজার, যাত্রাবাড়ি চৌরাস্তা, ঝিগাতলা শংকর বাসস্ট্যান্ড, মতিঝিল, উত্তরা, মিরপুর, শান্তিনগর বাজার, রামপুরা বাজার, নিউমার্কেট ও কামরাঙ্গীরচরে খোলা বাজারে ডিম বিক্রি কার্যক্রম শুরু হবে।