অভাবপূরণ

:: শ্রেয়া বিশ্বাস ::
প্রকাশ: ১ বছর আগে

অভাবপূরণ
শ্রেয়া বিশ্বাস (বয়স ৯)

এক গ্রামে এক ধনী শেঠজি ছিল।শেঠজির মনটা ছিল বড্ড ভাল।প্রতিদিন ভোরে মন্দিরে গিয়ে শেঠজি গরীব বাচ্চাদের খাবার-দাবার, জামাকাপড় বা কিছু না কিছু দান করে আসত।তাই শেঠজি মন্দিরে এলেই গরীব অনাথ বাচ্চারা ছুটে এসে তাকে ঘিরে ধরত কিছু পাবার আশায়।

শেঠজি রোজই মন্দিরে আসেন, দানধ্যান করেন। কিন্তু রোজই লক্ষ করেন যে, একটা ছোট্ট মেয়ে কোনোদিন তাঁর কাছে ছুটে আসেনা, দূরে দাঁড়িয়ে কেবল তাকিয়ে থাকে।

একদিন শেঠজি নিজেই তার কাছে যান, জানতে চান “কি ব্যাপার মা, সব্বাই আসে তুই তো কোনোদিন আমার কাছে কিছু চাসনা, তোর খিদে পায়না ?”

“আমার চাইতে ভাল লাগেনা বাবা, আমি চাইনি বলেইতো তোমার মতন একজন বড় মানুষ আজ নিজে আমার কাছে এলো।ঈশ্বর যার জন্যে যেদিন যেটুকূ খাবার মেপে রেখেছেন সে সেদিন সেটুকুই খেতে পায়”।

মেয়েটির কথা শুনে শেঠজি মুগ্ধ হয়ে গেলেন এবং তাকে নিজের মেয়ের মতন করে মানুষ করার জন্যে নিজের বাড়িতে নিয়ে গেলেন।

এরপর ঐ অনাথ মেয়েটিকে তিনি অনেক লেখাপড়া শেখালেন এবং নিজের মনের মতন করে তাকে মানুষ করলেন।মেয়েটির কোনোদিন আর কোনোকিছুর অভাব রইলো না।