বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার পেছনে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ক্ষমতাসীন দলের সদস্য, বিরোধী দলের সদস্য এবং আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন বলে গত ২২ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতিতে জানায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এরপর গত রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাক্ষাৎকারে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস জানান, তাদের আরোপিত এ নিষেধাজ্ঞায় গণমাধ্যম বা গণমাধ্যম কর্মীরাও থাকতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্র এর আগেও গণমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল।
সাম্প্রতিক সময়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও যুদ্ধে সহায়তা করার অভিযোগে রাশিয়া এবং ইরানের গণমাধ্যমের ওপর নেমে এসেছিল মার্কিনিদের নিষেধাজ্ঞার খড়গ।
সর্বশেষ গত ১৫ সেপ্টেম্বর ইরানের তিনটি রাষ্ট্রয়াত্ত গণমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। ইরানি কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ওই দিন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে জানায়, মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর দেশটির সরকার বিক্ষোভকারীদের ওপর যে দমন-নিপীড়ন চালিয়েছে, এতে সহায়তা করেছে এই গণমাধ্যমগুলো।
অপরদিকে ইউক্রেন যুদ্ধকে সমর্থন এবং সহায়তা করার অভিযোগে ২০২২ সালের মে মাসে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় তিন গণমাধ্যম চ্যানেল ওয়ান রাশিয়া, টেলিভিশন চ্যানেল রাশিয়া-১ এবং এনটিভি ব্রডকাস্টিং কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
এদিকে বাংলাদেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ শুরু হলেও— কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে সেটি পরিষ্কার করেনি মার্কিন প্রশাসন।