যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী তানজিলুর রহমানের এক ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে খুলনায় তার মাকে গ্রেপ্তারের অভিযোগের বিষয়টি ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের ফেসবুকে তুলে ধরা হয়েছে।
রোববার তারা এ সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এনবিসির একটি রিপোর্ট শেয়ার করেছে।
‘যুক্তরাষ্ট্রে ছেলে অনলাইনে সরকারের সমালোচনা করায় বাংলাদেশে মাকে গ্রেপ্তার’ শিরোনোমের ওই প্রতিবেদনটি শেয়ার করে মার্কিন দূতাবাস একটি স্ট্যাটাসও দিয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা গণতন্ত্রের একটি অপরিহার্য উপাদান।
এই নিবন্ধে অভিযোগগুলো সত্য কিনা সে বিষয়ে ঢাকা মার্কিন দূতাবাসের কোনো মন্তব্য নেই। তবে আমরা এই সত্যকে সাধুবাদ জানাই যে, গণমাধ্যমটি (এনবিসি) প্রতিবেদন প্রকাশের আগে মন্তব্যের জন্য তিনটি সরকারি সূত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এটি সাংবাদিকতার সংহতির বড় লক্ষণ।
২০ আগস্ট খুলনায় অন্তর্ঘাতমূলক ষড়যন্ত্র করার জন্য সমবেত হওয়ার অভিযোগে এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার নারীর স্বামী আলমগীর শিকদারের দাবি, তার স্ত্রী কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। তার ছোট ছেলে তানজিলুর রহমান আমেরিকায় পিএইচডি গবেষণারত ও বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী। তানজিলুর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে। এজন্য আমার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমার স্ত্রী তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখানে হঠাৎ করে পুলিশ আসে। তাকেসহ আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়। পরে শুনলাম জামায়াতকর্মী হিসেবে মামলা দেওয়া হয়েছে।
তবে ওই নারীকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে সেটা ঠিক নয় বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তিনি বলেন, কোনোভাবেই তাকে উদ্দেশ্যমূলক গ্রেপ্তার করা হয়নি। তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে তানজিলুরের মাসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রবাসে থাকা ছেলের ফেসবুক স্ট্যাটাসকে ঘিরে তার মাকে গ্রেপ্তার মানবাধিকারের লঙ্ঘন কি না, জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, বিষয়টি আমি পরিষ্কার করতে চাই। খুলনার একজন জামায়াতের নায়েবে আমিরের বাসায় নাশকতা এবং আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটানোর একটি ষড়যন্ত্র চলছিল। সেখানে অনেকে জড়ো হয়েছিল। সে তথ্য পেয়ে আমরা সেখানে যাই এবং অভিযান পরিচালনা করি।
তিনি বলেন, আমাদের (পুলিশের) উপস্থিতি টের পেয়ে অনেকে পালিয়ে যায়, আমরা সেখান থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছি। আমাদের জানা ছিল না, এ তিনজন কে বা কারা। আমরা যাদের গ্রেপ্তার করেছি এদের মধ্যে একজন মহিলা ও দুজন পুরুষ ছিলেন।