সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে দেশে প্রথমবারের মতো শুরু হচ্ছে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচি। প্রাথমিকভাবে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী ১ কোটি ১১ লাখ ১৮ হাজার ৩৫ কিশোরীকে এক ডোজ এইচপিভি টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনাও ইতোমধ্যে প্রণয়ন করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সোমবার (৭ আগস্ট) স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র বলছে, জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে স্কুলের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরের কিশোরীরাও টিকা পাবে। টিকাদানের আওতায় প্রাথমিকভাবে দেশের ১ কোটি ১১ লাখ ১৮ হাজার ৩৫ কিশোরীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যাদের বয়স ১০ থেকে ১৪ বছর অথবা ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৫ লাখ ৫৯ হাজার ১৯৫ জন, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে ২৫ লাখ ৮১ হাজার ৩৩৪ জন এবং রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে ৪৯ লাখ ৭৭ হাজার ৫০৬ জন।
জানা গেছে, প্রতি ধাপে দেশব্যাপী ১৮ দিন এই কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এর মধ্যে প্রথম ১০ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও স্থায়ী কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা টিকা পাবে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের টিকা নিতে না পারলে স্থায়ী কেন্দ্রে টিকা নেওয়া যাবে।
মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রথম ধাপে ঢাকা বিভাগের সব জেলা, উপজেলা, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে। দ্বিতীয় ধাপে (এপ্রিল ২০২৪) চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের সব জেলা, উপজেলা, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা টিকার আওতায় আসবে। শেষ ধাপ শুরু হবে ২০২৪ সালের আগস্টে। ওই সময় রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেটের সব জেলা, উপজেলা, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় টিকা দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ সংক্রান্ত সভা হওয়ার কথা হয়েছে। সভা শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে সাংবাকিদকের বিস্তারিত তুলে ধরবেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।