স্বাধীনতার স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছে মালদ্বীপে বাংলাদেশ হাইকমিশন।
এ উপলক্ষে হাইকমিশনের হলরুমে শনিবার (৫ আগস্ট) আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ।
হাইকমিশনার তার বক্তব্যে বলেন, শেখ কামাল ছিলেন সেই সময়ের শ্রেষ্ঠ যুবক। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী শেখ কামাল ক্রীড়া, সংস্কৃতির সব ক্ষেত্রেই অবদান রেখেছেন। নিজেও ক্রিকেট খেলতেন, সেতার বাজাতেন। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন শেখ কামাল।
তিনি বলেন, শেখ কামালের হাত ধরেই শিল্পগোষ্ঠী ঢাকা থিয়েটার। এখন যে সংগঠনগুলো আছে, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে শেখ কামালের চরিত্র অনুসরণ করলে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতির ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থার আবার পুনরুদ্ধার করে দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারি।
হাইকমিশনের কনস্যুলার সহকারী এবাদুল্লাহর সঞ্চালনায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। শুরুতে স্বাগতম বক্তব্য প্রদান করেন হাইকমিশনের প্রথম সচিব মো. সোহেল পারভেজ। প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল মাতবর।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বাণী পাঠ করেন বাংলাদেশ হাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিব চন্দন কুমার শাহ এবং মিশনের এডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার (একাউন্টস) মি. শিরিন ফারজানা।
পরে শেখ কামালকে নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। মোনাজাতে শেখ কামালসহ ১৫ আগস্ট শাহাদতবরণকারী বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সব শহিদের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. দুলাল হোসেন, মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি হাজি সাদেক, সহ সভাপতি মনির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, নুরে আলম রিন্টু, সাইফুল ইসলাম, গাজী সাদেক, গাজী জাহিদ, নুরে আলম ভূঁইয়াসহ অসংখ্য আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও প্রবাসী বাংলাদেশি।
সবশেষ শহিদ শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।