সিলেটে মাইক্রোবাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণহানি হয়েছে ৭ জনের।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ মহাসড়কের গোয়াইনঘাট থানাধীন সুন্দ্রাগাঁও নামক স্থানে এই মর্মান্তিক দূর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মো. ইদ্রিস আলী (৪০), কাজী আমির উদ্দিন (৫০), মো. কালন মিয়া, তাহের মিয়াসহ আর ৩জন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিলেট- কোম্পানীগঞ্জ মহাসড়কের গোয়াইনঘাটে থানাধীন সুন্দ্রাগাঁও নামক স্থানে সিলেট থেকে ছেড়ে যাওয়া মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-চ ১৯-৭৪৬২) সকাল ৮টার দিকে সুন্দ্রাগাঁও নামক স্থানে পৌঁছলে গাড়িটির সামনের ডানপাশের চাকা ব্লাস্ট হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং বিপরীত দিক থেকে আসা রেজিস্ট্রেশনবিহীন অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় দুটি গাড়িই রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে ৫ জনের মৃত্যু হয়।
এদিকে এ ঘটনায় গুরুতর আহত ব্যক্তি সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হয়।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম জানান, মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় সাতজন নিহত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত চারজনের পরিচয় আমরা পেয়েছি। বাকি তিনজনের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
এদিকে সিলেটের বঙ্গবন্ধু মহাসড়কে দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণকারী ৭ পরিবারকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় সিলেটের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রত্যেক নিহত ব্যক্তির পরিবারকে লাশ দাফন কার্যের জন্য নগদ ২০ হাজার টাকা হারে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
লাশ দাফন কার্যের জন্য সিলেটে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিকাল সাড়ে ৩ টায় মৃত ব্যাক্তিদের অভিভাবকদের হাতে ২০ হাজার করে নগদ টাকা তুলে দেন গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিলুর রহমান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুসিকান্ত হাজং। এসময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রবাস কুমার সিংহ, গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম নজরুল, কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হিল্লোল রায়, গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শীর্ষেন্দু পুরকায়স্থ ও নন্দীরগাও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস কামরুল হাসান আমিরুল।
সিলেট/অমিতা সিনহা/১৯ জুলাই ২০২৩।