আসন্ন সিসিক নির্বাচনকে ঘিরে চলছে সিলেট নগরীতে আলোচনা সভা, ঘরোয়া বৈঠকসহ প্রচার প্রচারনা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সরব আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী যুক্তরাজ্য শাখার যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
তবে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন সিলেট-২ আসনে জাপার সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী।লাঙ্গল রেখে ভোট চাইলেন তিনি নৌকায়।
গত শুক্রবার (১২ মে) সিলেট নগরীর ঝেরঝেরিপাড়া এলাকাবাসীর উদ্যোগে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌকার মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান। এলাকার এমন মতবিনিময় সভার আয়োজনে জাপার সাবেক এমপি ইয়াহইয়াকেও আমন্ত্রণ জানান স্থানীয় আয়োজকরা। এসময় সাবেক এমপি ইয়াহইয়া আসন্ন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আনোরুজ্জামান চৌধুরীকে সহযোগীতার আহ্বান জানান।
পাবলিক রিঅ্যাকশনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
তিনি বলেন, দল মত নির্বিশেষে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করে সিলেটের উন্নয়ন কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী মনোনীত মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামানকে বিজয়ী করতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
তার এমন বক্তব্য তার দল জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোনীত মেয়র প্রার্থীর কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট মহানগরের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম বাবুল হতভম্ব হয়ে যান। এক পর্যায়ে দলের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হলে সিসিক নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী বাবুল পার্টির হাই কমান্ডকে অবহিত করে বিচারের জন্য প্রার্থনা করেন। এরপর আজ রোববার জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপির নির্দেশে সিলেট-২ আসনের সাবেক এমপি ইয়াহিয়াকে দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়।
জাপার দপ্তর সম্পাদক-২ এমএ রাজ্জাক খান স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর চিঠিতে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে ইয়াহিয়াকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। নোটিশ উল্লেখ করা হয় যে, নিজ দলের মনোনীত লাঙল প্রতীকের মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল থাকা স্বত্ত্বেও জাপার কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহইয়া চৌধুরী গত শুক্রবার রাত ৯টায় নগরীর ঝেরঝেরিপাড়ায় এক সভায় নৌকার প্রার্থীর পক্ষে মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখেন এবং নৌকার জন্য ভোট প্রার্থণা করেন। যা সুস্পষ্ট দলীয় শৃঙ্খলা ও স্বার্থের পরিপন্থী।
এ নিয়ে মুঠোফোনে কথা হলে সিলেট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির (জাপা) ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়া প্রতিবেদককে বলেন, আমি এমন কোনো বক্তব্য দেয়নি মতবিনিময় সভায়। সেখানে গিয়েছিলার এলাকার সভা বলে। সেখানে আরও অন্যাান্য দলের নেতা কর্মীরা ছিলেন। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামানকে আগে থেকেই ভালো সম্পর্ক আছে। এছ্ড়াা তিনিও পাশ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দা। সেই সুবাদে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে বলেছিলাম উনাকে সহযোগীতা করার কথা। এমন কিছু বলেনি যা দলের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করে। তবে দল থেকে এখনো কোনো শোকজের চিঠি আসেনি।
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে ভার্চুয়াল মতামত ও অন্যান্য ভিডিও পাবেন।
গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে সাথেই থাকুন।
Public Reaction একটি মতামতভিত্তিক সাইট।
মূলধারার সংবাদ এবং মতামত, প্রবন্ধ, গল্প, কবিতাসহ সৃজনশীল লেখা প্রকাশের একটি মুক্তমাধ্যম এটি। লিখুন আপনিও।
ইমেইল: opinion2mail@gmail.com, info@publicreaction.net