গণহত্যা দিবসের জাতীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকারের সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, ‘২৫ মার্চ রাতে সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবন ও স্থাপনায় কোনো আলোকসজ্জা করা যাবে না। ২৬ মার্চ সন্ধ্যা থেকে আলোকসজ্জা করা যাবে।’ কিন্তু গণহত্যা দিবসের এই ভয়াল রাতে সরকারি নির্দেশনা লঙ্ঘণ করে আলোকসজ্জা করেছে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)।
শনিবার (২৫ মার্চ) রাত ৮টায় সরেজমিনে দেখা যায়, কাকরাইলে অবস্থিত জনশক্তি রপ্তানির দায়িত্বে নিয়োজিত সরকারী এই প্রতিষ্ঠানের পুরো ভবনে আলো জ্বালিয়ে রাখা হয়েছে। অথচ সরকারের নির্দেশনায় কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বলা আছে, ‘কোনোক্রমেই ২৫ মার্চ আলোকসজ্জা করা যাবে না’।
পাবলিক রিঅ্যাকশনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
সংশ্লিষ্টরা গণহত্যা দিবসের রাতে বিএমইটি’র এই আলোকসজ্জার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় নির্দেশনা লঙ্ঘণের অভিযোগ তুলেছেন।
এ বিষয়ে বিএমইটি কর্তৃপক্ষ বা সংস্থাটির মহাপরিচালক (ডিজি) মো. শহীদুল আলম (এনডিসি) কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, সরকারের নির্দেশনা রয়েছে- ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে রাতে কোনো আলোকসজ্জা করা যাবে না। এ সংক্রান্ত সরকারি তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, ২৫ মার্চ রাতে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবন ও স্থাপনাসমূহে কোনো আলোকসজ্জা করা যাবে না। তবে ২৬ মার্চ সন্ধ্যা থেকে আলোকসজ্জা করা যাবে। ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের জাতীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সর্বসাধারণকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে বলেও তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়েছে।
আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস। বাঙালি জাতির জীবনে ১৯৭১ সালের এইদিন শেষে এক বিভীষিকাময় ভয়াল রাত নেমে এসেছিল।
এদিন মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্ব পরিকল্পিত অপারেশন সার্চ লাইটের নীলনকশা অনুযায়ী বাঙালী জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার ঘৃণ্য লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে গণহত্যা দিবসের ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া সারাদেশে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গীতিনাট্য এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঢাকাসহ সব সিটি কর্পোরেশনের মিনিপোলগুলোতে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হয়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এদিন বাদ জোহর দেশের সকল মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে সুবিধাজনক সময়ে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে ভার্চুয়াল মতামত ও অন্যান্য ভিডিও পাবেন।
গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে সাথেই থাকুন।
Public Reaction একটি মতামতভিত্তিক সাইট।
মূলধারার সংবাদ এবং মতামত, প্রবন্ধ, গল্প, কবিতাসহ সৃজনশীল লেখা প্রকাশের একটি মুক্তমাধ্যম এটি। লিখুন আপনিও।
ইমেইল: opinion2mail@gmail.com, info@publicreaction.net