শাকিব খানের বিরুদ্ধে কাউকে কোনো ধরনের অভিযোগ করার অনুমতি দেননি ‘ভিকটিম’ সেই নারী। তিনি বিষয়টিকে নিজের ব্যক্তিগত দাবি করে বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত ঘটনা নিয়ে যেসব কথা হচ্ছে, তার জন্য আমি কাউকে অনুমতি দিইনি। ’
সম্প্রতি ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে ‘ধর্ষণের’ অভিযোগ তুলেছিলেন এক প্রযোজক। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার অন্যতম প্রযোজক রহমত উল্ল্যাহ।
আর বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় দেশীয় চলচ্চিত্রপাড়া।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শাকিব। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে প্রতারণারও একটা মাত্রা থাকা উচিত। পর্দায় আমরা সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলি, প্রতিবাদ করি। দিন শেষে কিন্তু ন্যায়েরই জয় হয়। শুধু রিল কিংবা পর্দায় নয়, রিয়াল লাইফেও যারা সত্যের পক্ষে থেকে লড়াই করেন, প্রতিবাদ করেন, তাদেরই জয় হয়। আজকেও আমাদের জয় হলো। যারা অসত্য ও ভিত্তিহীন অভিযোগ নিয়ে এসেছিল, তারা কিন্তু পালিয়ে গেছে। প্রয়োজনে তাকে বিদেশ থেকে ধরে আনা হবে।
পাবলিক রিঅ্যাকশনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
অন্যদিকে যে নারী শাকিবের এমন আচরণে ভুক্তভোগী, মুখ খুললেন তিনিও। বাংলাদেশ ও কলকাতার গণমাধ্যমে ওই নারীর বক্তব্য প্রকাশ হয়েছে। সংবাদ সংস্থাকে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আমার প্রসঙ্গ টেনে আমার হয়ে যে অভিযোগ করা হয়েছে, সে সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। সিনেমাটি সম্পূর্ণ করা হবে কি না, তা নিয়েও আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আর আমার ব্যক্তিগত ঘটনা নিয়ে যেসব কথা হচ্ছে, তার জন্য আমি কাউকে অনুমতি দিইনি। এমনকি এই প্রসঙ্গ নিয়ে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে, তা-ও আমি জানতাম না। ২০১৬ সালের অভিযোগটি এখনো তদন্তাধীন। কী করব, তা ভবিষ্যতে বিবেচনা করব। এখন আমি এসব নিয়ে ভাবছি না। ’
এদিকে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্য পুলিশের ‘ইভেন্ট রেফারেন্স নম্বর ৬২৪৯৪৯৫৯’-এর তথ্য মতে, শাকিব খান রানার বিরুদ্ধে একটি পুলিশ প্রতিবেদনের অস্তিত্ব রয়েছে। ইভেন্টকে বাংলাদেশের সাধারণ ডায়রির (জিডি) সমতুল্য বলা যায়।
সেখানে ঘটনাবলির সারসংক্ষেপে বলা আছে, ২০১৬ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর শাকিব খান সিডনিতে একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর মধ্যরাতে শাকিব খান হোটেলে ফিরে যান। সেখানে একটি অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে শাকিব খান ও সহ-প্রযোজক এক নারীকে হোটেলে রেখে নিজ বাড়িতে চলে যান রহমত উল্লাহ। পরদিন ১৪ সেপ্টেম্বর সকালে সেই নারীর ফোন পেয়ে তিনি আবার সেই হোটেলে যান এবং সেখান থেকে তাঁকে বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে আসেন।
আরও জানা যায়, একই দিন একটি হাসপাতালের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে সিডনির সেন্ট জর্জ থানায় একটি বক্তব্য দেন ওই নারী। এ বক্তব্যের সাক্ষ্য হিসেবে পুলিশের কাছে বয়ান দেন রহমত উল্লাহ। পরদিন শাকিব খান অস্ট্রেলিয়া ত্যাগ করেন।
পরবর্তী সময়ে শাকিব খান যখন দুই বছর পর অস্ট্রেলিয়ায় যান তখন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এদিকে শাকিব খান বৃহস্পতিবার বলেন, রহমত উল্লাহ অস্ট্রেলিয়ার পুলিশকে বোকা বানিয়েছে।
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে ভার্চুয়াল মতামত ও অন্যান্য ভিডিও পাবেন।
গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে সাথেই থাকুন।
Public Reaction একটি মতামতভিত্তিক সাইট।
মূলধারার সংবাদ এবং মতামত, প্রবন্ধ, গল্প, কবিতাসহ সৃজনশীল লেখা প্রকাশের একটি মুক্তমাধ্যম এটি। লিখুন আপনিও।
ইমেইল: opinion2mail@gmail.com, info@publicreaction.net