বিএনপি আজ ঢাকায় পদযাত্রায় নামছে

:: পা.রি. রিপোর্ট ::
প্রকাশ: ২ years ago
বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচীর ফাইল ছবি

সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ বিভিন্ন দাবিতে টানা কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। এরই অংশ হিসেবে শনিবার একযোগে ৬৬ সাংগঠনিক জেলায় পদযাত্রা করে দলটি। আজ রোববার ঢাকা জেলায় এই পদযাত্রা করবে তারা। এতে নেতৃত্ব দেবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জেলা পর্যায়ের এই পদযাত্রায় অংশ নেবেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। তাদের নেতৃত্বে ৬৬ সাংগঠনিক জেলায় পদযাত্রা বের করা হয়। এজন্য ভাগ করে দেওয়া হয় দায়িত্বও। তাদের সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় অন্য নেতারা স্ব-স্ব জেলার কর্মসূচিতে অংশ নেন। আর বিভাগীয় সাংগঠনিক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকরা স্ব-স্ব বিভাগের কর্মসূচি সমন্বয় করেন।

পাবলিক রিঅ্যাকশনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন

ঢাকা জেলার পদযাত্রা কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেবেন বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

 

তৃণমূলের সমর্থন যোগাতে ৪ মার্চ থানা পর্যায়ে মিছিল করবে বিএনপি
চলমান যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠন ও সমমনা দলগুলো নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে ৪ মার্চ (আগামী শনিবার) তাদের বিভাগীয় শহরের আওতাধীন সকল থানায় মিছিল করবে।

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দেশের সব জেলায় তাদের পদযাত্রা শুরুর পরপরই প্রধান বিরোধী দল নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে – যা একই ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ।

এ কর্মসূচিতে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, প্রতিবাদ করা হবে এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে কোনো শর্ত ছাড়াই মুক্তি দিতে , মূলত তার বিরুদ্ধে করা ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহার করতে সরকারকে চাপ দেয়া এবং দলের ১০ দফা দাবি অবিলম্বে মেনে নেয়ার জন্য এই কর্মসূচি পালন করা হবে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে সরকারকে তাদের ১০ দফা দাবি মেনে নিতে এবং পদত্যাগে বাধ্য করতে দলীয় নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে দলের আন্দোলনকে সফল করতে আহ্বান জানিয়েছেন।

জেলা পর্যায়ের কর্মসূচিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও দলের সিনিয়র নেতারা অংশ নেন।

৯টি জেলায় সংঘর্ষ ও অবরোধের মধ্যে ১০ দফা দাবি আদায়ে বিএনপি শনিবার দেশের সব জেলায় পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে।

ঝালকাঠি, নীলফামারী ও নেত্রকোনায় তাদের পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করতে গেলে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

এছাড়া পটুয়াখালীতে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং কুমিল্লায় মিছিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গুলি চালায় বলে তারা জানান।

পুলিশের বাধায় বাগেরহাট ও রাজবাড়ীতে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করতে পারেনি বিএনপি এবং গাজীপুর ও মাগুরায় পুলিশের বাধায় দলীয় নেতাকর্মীরা কর্মসূচি স্থগিত করেছে।

এছাড়া মিছিল শুরুর আগে নাটোরে দলের কার্যালয়ের সামনে একটি ককটেল বিস্ফোরণে দলটির পদযাত্রা কর্মসূচি বানচাল করা হয়।

মির্জা ফখরুল তার বিবৃতিতে ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, চলমান আন্দোলনকে ভয় পেয়ে সরকার বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ মিছিল কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে।

বিভিন্ন জেলায় পদযাত্রা কর্মসূচিতে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের ‘ক্যাডারদের’ হামলায় বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।

গত বছরের ডিসেম্বর থেকে বিএনপিসহ সমমনা দল ও জোটগুলো সরকার পতনের জন্য একযোগে আন্দোলন শুরু করে, অথবা অন্তত আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সর্ব-গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্বাবধায়ক বা নির্দলীয় বিধান উপলব্ধি করে।

এছাড়া গত ২৮ জানুয়ারি থেকে রাজধানীর পাঁচটি এলাকায় পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেন বিএনপির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর শাখার নেতাকর্মীরা।

দলটি তাদের ১০ দফা দাবি জানাতে সারাদেশের সব ইউনিয়ন ও বিভাগীয় শহরে একই ধরনের কর্মসূচির আয়োজন করেছে।

 

মানিকগঞ্জ জেলার পদযাত্রা কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গাজীপুরে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নারায়ণগঞ্জে ড. আব্দুল মঈন খান, টাঙ্গাইলে অ্যাডভোকেট আহমদ আযম খান, মুন্সীগঞ্জে অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ।

কুমিল্লা দক্ষিণে বরকত উল্লাহ বুলু, কুমিল্লা উত্তরে হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, চাঁদপুরে ড. আসাদুজ্জামান রিপন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোস্তাক মিয়া। ময়মনসিংহ দক্ষিণে নজরুল ইসলাম খান, জামালপুরে আব্দুল আউয়াল মিন্টু, নেত্রকোনায় অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, ময়মনসিংহ উত্তরে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ও শেরপুরে মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল।

চট্টগ্রাম উত্তরে আব্দুল্লাহ আল নোমান, বান্দরবানে শামসুজ্জমান দুদু, চট্টগ্রাম দক্ষিণে আবুল খায়ের ভুঁইয়া, নোয়াখালীতে মো. শাহজাহান, ফেনীতে ভিপি জয়নাল, রাঙ্গামাটিতে মাহবুবের রহমান শামীম, খাগড়াছড়িতে মীর মো. নাসির উদ্দিন, লক্ষ্মীপুরে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও কক্সবাজারে লুৎফর রহমান কাজল।

বরগুনায় এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বরিশাল উত্তরে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, বরিশাল দক্ষিণে মজিবুর রহমান সরোয়ার, পিরোজপুরে বিলকিস জাহান শিরিন, পটুয়াখালীতে অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, ভোলায় ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ঝালকাঠিতে ডা. রফিকুল ইসলাম।

নওগাঁয় মিজানুর রহমান মিনু, পাবনায় অধ্যাপক শাহজাহান মিয়া, বগুড়ায় আবদুস সালাম, রাজশাহীতে হারুন-অর-রশিদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জে কর্নেল (অব.) আব্দুল লতিফ, নাটোরে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুু, জয়পুরহাটে মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও সিরাজগঞ্জে অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন।

ঠাকুরগাঁওয়ে আমান উল্লাহ আমান, দিনাজপুরে ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, গাইবান্ধায় ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, রংপুরে হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, পঞ্চগড়ে ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, লালমনিরহাটে আসাদুল হাবিব দুলু, কুড়িগ্রামে শামসুজ্জোহা খান, সৈয়দপুরে আনিসুজ্জামান বাবু ও নীলফামারীতে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।

রাজবাড়িতে ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসিম, ফরিদপুরে শামা ওবায়েদ ও মাদারীপুরে জহুরুল ইসলাম শাহজাদা মিয়া। মাগুরায় অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, যশোরে জয়নুল আবেদীন ফারুক, নড়াইলে ড. মামুন আহমেদ, মেহেরপুরে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, কুষ্টিয়ায় অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, খুলনায় আজিজুল বারী হেলাল, সাতক্ষীরায় রাশেদা বেগম হীরা, বাগেরহাটে অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ঝিনাইদহে অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান ও চুয়াডাঙ্গায় সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া।

হবিগঞ্জে আরিফুল হক চৌধুরী, মৌলভীবাজারে ড. এনামুল হক, সিলেটে খন্দকার আবদুল মুক্তাদির এবং সুনামগঞ্জে ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন।


আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে ভার্চুয়াল মতামত ও অন্যান্য ভিডিও পাবেন।

গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে সাথেই থাকুন।


Public Reaction একটি মতামতভিত্তিক সাইট।
মূলধারার সংবাদ এবং মতামত, প্রবন্ধ, গল্প, কবিতাসহ সৃজনশীল লেখা প্রকাশের একটি মুক্তমাধ্যম এটি। লিখুন আপনিও।
ইমেইল: opinion2mail@gmail.com, info@publicreaction.net