স্বাধীন বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মেলাগুলোর অন্যতম ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’। এই মেলা ঘিরে বাঙালির মননশীলতার চর্চা অনেকটাই বেগবান হয়। এবার ২, ১০, ১৫ তারিখ মিলিয়ে প্রথম পাক্ষিক তথা ১৮ দিনের মধ্যে গিয়েছি তিন দিন। সময়টা বেশ ভালোই কেটেছে। অনেক নবীন-প্রবীন কবি-লেখক-সাহিত্যিকের সাথে দেখা হয়েছে। অনেকের সাথে অনেকদিন পর দেখা হয়েছে। অনেকে চলে গেছেন অতীতের দিকে। নানান জনের নানান স্মৃতিকাতরতায় কেটে গেছে মেলায় যাওয়ার তিনটি দিন।
পাবলিক রিঅ্যাকশনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
অসম্ভব রকমের ভালো লাগায় কেটেছে প্রতিটি মিনিট ও সেকেন্ড। নতুন নতুন লেখক ও পাঠকের সমাবেশ ঘটেছে এই সময়ে। তিনদিনের মধ্যে ২ তারিখ ছিল বৃহস্পতিবার, ১০ তারিখ ছিল শুক্রবার, ১৫ তারিখ ছিল বুধবার। সব মিলিয়ে ৩দিনে মেলায় ছিলাম ১০ ঘন্টা। আলহামদুলিল্লাহ। অনেক নতুন বই মেলায় উঠেছে। হাতে পেয়েছি, পড়ার জন্য অনেকেই নিজেদের লেখা বই গিফট করেছে। যা খুবই আনন্দদায়ক ঘটনা। বিশেষ করে তিনদিনই একক ভাবে মেলায় প্রবেশ করেছি। আবার এককভাবেই বের হয়েছি। অনেকের সাথে আবার ভালোভাবে মোলাকাত কিংবা কথা বলতে পারেনি, সময়ের অভাবে।
তবে আগামী বইমেলা কিংবা কোন অনুষ্ঠানে অবশ্যই সময় করে কথা বলবো বলে বিশ্বাস করি। এবারের বইমেলায় প্রথম পাক্ষিকের তিনদিনে দেখা ও কথা হয়েছে মহিলা আসনের এমপি জনাবা বেগম লুৎফুন্নেসা, জনাব মোকতাদির চৌধুরী, বিচারপতি মুজিবুর রহমান, বহুভাষাবিদ কবি মাহমুদুল হাসান নিজামী, কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন, মাহবুবা রহমান লাকি, জায়েদ হোসেন লাকি, মাহফুজা বৃষ্টি,কলেজের ম্যাম মেহেরুন নেসা, কবি মাসুদা তোফা, খাজিনা খাজি, আরিফ নজরুল, মোরশেদ আলম হৃদয়, এবিএম সোহেল রশিদ, নজরুল বাঙ্গালী, রানু গাজী, কবি আসলাম সানী, রামেন্দু মজুমদার, ঢাবি শিক্ষক ও কলামিষ্ট সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, ছাত্রনেতা শেখ ইনান, ছাত্রনেতা জহিরুল ইসলাম, ইউসুফ রেজা, কবি ফরিদ আহমদ দুলাল, আর মজিব, জামাল উদ্দিন স্বপন, গবেষক এস এম আবুল বাশার, ফারুক শাহরিয়া, রহিমা আক্তার মৌ, মেহেবুবা হক রুমা, রিমি বাশার, কাজী সাব্বির, এস এম দোহা, কাজী আনিসুল হক, লিপি আক্তার, সাবেক সেনাবাহিনী সদস্য কবি মো: জয়নাল আবেদীন,পীরজাদা, সুকুমার রায় দাদা ভাই, গীতিকার সাইফুল বারী, আহমাদ মোস্তফা কামাল, মায়াবী কাজল, মোহাম্মদ জহির উদ্দিন, কবি জাকির সায়েরী, নাহিন ফেরদৌস, দৈনিক কুমিল্লার কাগজ সম্পাদক আবুল কাশেম হৃদয়, কলেজের ম্যাম জুবাইদা নুর খান,ক্যাম্পাস বার্তার সদস্য মহসীন কবির, বিল্লাল হোসেন রাজু, মাহাদী হাসান, আর কে নিরব, আলাউদ্দিন আজাদ, আমিনা আক্তার প্রিয়া, সাইফুদ্দিন প্রমুখ। তবে এখনো আরো বহু মানুষের সাথে দেখা হওয়া বাকি রয়েছে। বহু লেখক-কবি-সাহিত্যিক-সাংস্কৃতিক কর্মী-সাংবাদিক-রাজনীতিবিদ ও বিখ্যাত মানুষের সাথে দেখা হওয়া বাকি রয়েছে। বইমেলার বাকি দিনগুলোতে দেখা হবে, বিশ্বাস করি।
এবারের মেলায় অনেক গুলো স্টল নতুন করে এসেছে। নতুন নতুন মুখের নতুন নতুন লেখা এসেছে। পাঠকরা নতুন নতুন লেখা ও বিখ্যাত লেখকদের বই পড়ে সমৃদ্ধ হবে বলে বিশ্বাস করি। মেলায় রয়েছে নামাজের ব্যবস্থা পুরুষ ও মহিলা আলাদা করে, তথ্যকেন্দ্র, লেখক বলছি, গ্রন্থ উম্মোচন কেন্দ্র, জাল নোট সনাক্তকারী কেন্দ্র, শিশু চত্ত্বর, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ বক্স, বঙ্গবন্ধু চত্ত্বর, খাওয়ার জন্য ব্যবস্থা, প্রবেশের জন্য একাধিক গেইট ও বের হওয়ার জন্য একাধিক গেইট রাখা হয়েছে। নিরাপত্তা বেষ্টিত চাদরে ঢাকা অমর একুশে বইমেলার বাংলা একাডেমী ও সোহরাওয়াদী উদ্যান চত্ত্বর মিলিয়ে বইমেলা প্রাঙ্গণ হলো লেখক-পাঠক-প্রকাশকের মিলনস্থল। একে অপরের সাথে বছরের একটি মাস দেখা ও চা খাওয়ার আড্ডায় পরিণত হয়। এভাবে চলুক শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে আমাদের প্রাণের বইমেলা। ছড়িয়ে পড়ুক প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে….।
লেখক: সমন্বয়ক: একটু হাসি (সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠন)
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে ভার্চুয়াল মতামত ও অন্যান্য ভিডিও পাবেন।
গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে সাথেই থাকুন।
Public Reaction একটি মতামতভিত্তিক সাইট।
মূলধারার সংবাদ এবং মতামত, প্রবন্ধ, গল্প, কবিতাসহ সৃজনশীল লেখা প্রকাশের একটি মুক্তমাধ্যম এটি। লিখুন আপনিও।
ইমেইল: opinion2mail@gmail.com, info@publicreaction.net