বিএনপির সমাবেশ টার্গেট করেই কি বরিশালে হোটেলে হোটেলে যাচ্ছে পুলিশ?

::
প্রকাশ: ২ years ago

পাবলিক রিঅ্যাকশন ডেস্ক: 
বরিশাল নগরীর আবাসিক হোটেলগুলোর ‘খোঁজ-খবর’ নিতে শুরু করেছে পুলিশ। হোটেল মালিকরা বলছেন, নতুন করে বোর্ডার তোলার ক্ষেত্রে প্রশাসন থেকে দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, নিয়মিত তদারকির অংশ হিসেবে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকায় মালিক সমিতির আওতায় দুই শতাধিক আবাসিক হোটেল রয়েছে। মালিক সমিতি কয়েক বছর আগে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে। সমিতির সাবেক দায়িত্বশীলরা এ নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি।

জানা গেছে, বুধবার শহরের বেশ কিছু হোটেলে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্বরতদের সঙ্গে কথা বলে এসেছেন।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সন্ধ্যায় হোটেল রোদেলা ইন্টারন্যাশনাল ও কাঠপট্টি রোডের হোটেল ধানসিঁড়ি পরিদর্শন করেন।

এই খবরে অন্য হোটেলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে ‘পুলিশি অভিযানের’। এমনকি বিএনপির কয়েকজন নেতারা এই অভিযোগ করেন।

হোটেল রোদেলা ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপক সৈকত হোসেন বলেন, আজ পুলিশ সদস্যরা এসেছিলেন। তবে আমাদের কিছু বলেননি। তারা এসে কিছুক্ষণ বসে আবার চলে গেছেন। সৈকত বলেন, আগামী ৬ নভেম্বর পর্যন্ত হোটেলের অধিকাংশ কক্ষ ভাড়া হয়ে গেছে।

বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো হোটেল থেকে আমাদের নেতাকর্মীদের নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে এমন কোনো অভিযোগ আমি পাইনি। আশা করছি প্রশাসন এই কাজ করবে না। কারণ কেউ যদি বিধি মেনে হোটেলে ভাড়া দিয়ে থাকে তাহলে সেখানে কারও হস্তক্ষেপ করা উচিত হবে না।

হোটেল শামস-এর ব্যবস্থাপক মানিক হাওলাদার বলেন, নতুন বোর্ডার নিতে পারব না এমন কোনো নির্দেশনা দেয়নি। তবে প্রশাসন থেকে গুরুত্ব দিয়ে বলেছে, যেন কক্ষ ভাড়া দেওয়ার যে নীতিমালা রয়েছে তা অনুসরণ করা হয়।

তিনি বলেন, ভাড়া যিনি নেবেন তার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, ছবি তুলে রাখাসহ হালনাগাদ তথ্য লিপিবদ্ধ করে রাখতে বলা হয়েছে।

হোটেল আলী ইন্টারন্যাশনালের উপ-ব্যবস্থাপক আনিসুর রহমান লিটন বলেন, নগরীর ভালো হোটেলগুলো বোর্ডার ভাড়ার নীতিমালা অনুসরণ করে, আমরাও করি।

হোটেল স্যাডোনা ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপক জহির বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে আমাদের হোটেলে বোর্ডারের চাপ বেশি। তবে ১ নভেম্বর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত একটি সিটও খালি নেই।

কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম বলেন, হোটেল তদারকি আমাদের নিয়মিত কাজের অংশ। হোটেল কর্তৃপক্ষ সঠিকভাবে নিয়ম অনুসরন করছেন কি না এসব খোঁজখবর নিতেই হোটেলে যাওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিকে ঘিরে আমাদের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।