ভ্রমণ ডেস্ক:
একসাথে পাহাড়, ঝর্ণা ও পাথর ভর্তি পাহাড়ি পথ ভ্রমণের স্বাদ নিতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন ওয়ালিডং ও নিঝুম ঝর্ণা। এর জন্য আপনাকে যেতে হবে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বরইতলীতে।
যদি কেউ যেতে চান, তাহলে আটজনের একটা টিম হয়ে ঘুরে আসতে পারেন। তাহলে খরচ কমবে এবং যাতায়াতেও সুবিধা হবে। যাওয়ার সময় অবশ্যই স্থানীয় কাউকে নিয়ে যাবেন। যে ঝর্ণায় যাবার পথ ভালমতো চেনে।
যেভাবে যাবেন:
বাংলাদেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে কক্সবাজারগামী বাসে করে চলে আসুন কক্সবাজার। কক্সবাজার টার্মিনাল থেকে উখিয়া যায় এ রকম মিনিবাস পাবেন। মিনিবাসে করে উখিয়ার আগে মরিচ্যায় নেমে যান (বাসের অ্যাসিস্ট্যান্টকে বললেই নামিয়ে দেবে)। ভাড়া ৩০ টাকা। অথবা সিনএনজি নিয়েও যেতে পারেন ভাড়া জনপ্রতি ৬০ টাকা। মরিচ্যা বাজারে নেমে প্রয়োজনীয় খাবার, পানি, ডেটল, ব্যান্ডেজ- এগুলো কিনে নিন।
মরিচ্যা বাজার রোডের বাম পাশে একটা বড় শিশুগাছ দেখতে পাবেন (স্থানীয় ভাষায় ঘুমগাছতলা বললেই দেখিয়ে দেবে)। শিশু গাছটির পাশ দিয়ে চলে গেছে পাকা সড়ক। সড়কটির মুখেই পাবেন ইজি বাইক এবং সিএনজি। চালকের সাথে কথা বলবেন বরইতলী-মংজয় পাড়া-লেবু বাগান ভাবনা কেন্দ্রের সামনে নামবেন। দরদাম ঠিক করে নেবেন। প্রতি ইজিবাইক ১৫০ থেকে ২০০ টাকা এবং প্রতি সিএনজি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা নেবে।
যে গাইডের সাথে যোগাযোগ করবেন তাকে ভাবনা কেন্দ্রের সামনে অপেক্ষা করতে বলবেন। ইজি বাইক আপনাদের ভাবনা কেন্দ্রের সামনে নামিয়ে দেবে।
ভাবনা কেন্দ্রের পাশ দিয়ে চলে গেছে কাঁচাসড়ক। প্রথমদিকে খুবই কাদাযুক্ত পথ এবং পথের দুইদিকে লেবু বাগান। লেবু বাগান ফেলে পাহাড়ি পথ ছেড়ে নেমে যাবেন ঝিরিপথে। ঝিরিপথ দিয়ে স্রোতের বিপরীতে হাটতে হবে ২ ঘণ্টার মতো। পথ চলতে দিয়ে দেখা পাবেন জুম চাষ, জাম্বুরা বাগান, পেয়ারা বাগান, কলা বাগান, আম বাগান। ২ ঘণ্টা হাঁটার পর দেখবেন ঝিরিপথটি দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। হাতের ডান পাশে গেলে দেখা পাবেন প্রথম ঝর্ণার। অন্য পথে দেখা পাবেন সবচেয়ে বড় ঝর্ণাটির।
এ ঝর্ণাটির বিশেষত্ব হলো, যে পাশ দিয়ে ঝর্ণায় ঢুকবেন, ওইদিক ছাড়া বাকি তিনটি দিকে দিয়ে নেমে এসেছে তিনটি ঝর্ণা। বায়ে, ডায়ে এবং সামনে।
স্থানীয় লোকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আনুমানিক ১০টির বেশি ছোটবড় ঝর্ণা রয়েছে আশেপাশের জায়গা জুড়ে। এসব ঝর্ণায় পর্যটক যাওয়া শুরু হয়েছে চলতি বছরের জুলাই থেকে। কিন্তু মাত্র দু’য়েক মাস আগে আবিষ্কৃত ঝর্ণাগুলোর প্রাকৃতিক পরিবেশ ইতোমধ্যেই হুমকির মুখে।