পাবলিক রিঅ্যাকশন ডেস্ক:
আপনার চোখ দিয়ে কি প্রায়ই পানি পড়ে? চোখ কি লাল হয়ে চুলকায় অথবা জ্বালা – পোড়া করে? যদি উত্তর হ্যাঁ হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে খুবই সতর্ক থাকতে হবে চোখের অ্যালার্জি সমস্যা নিয়ে।
বর্তমান সময়ে অ্যালার্জি কমন একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই আবার চোখের অ্যালার্জিতেও ভুগে থাকেন। বায়ুদূষণ এর অন্যতম কারণ। চোখে অ্যালার্জি হলে চোখ চুলকায় ও লালচে রং ধারণ করে। এমনকি রোদে গেলে চোখ জ্বালাপোড়াও করে থাকে। চোখে অ্যালার্জি হলে ঘরোয়াভাবে যে চিকিৎসা দেওয়া যেতে পারে।
চোখের অ্যালার্জি সমস্যা
২ ধরনের অ্যালার্জি দেখা যায় । সিজেনাল আর বারোমেসে।
সিজেনাল
সিজেনাল অ্যালার্জি বছরের নির্দিষ্ট একটি সময়ে হয়ে থাকে বিশেষ করে শরৎ কালে আর বসন্তকালে। এসব সময়ে এলারজেন যেমন ঘাস, গাছ থেকে পরাগ রেণু বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি ছত্রাক থেকে স্পোরও বাতাসে ছড়িয়ে আমাদের চোখের অ্যালার্জির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বারোমেসে
বর্ষজীবী অ্যালার্জি সারা বছরই হয়ে থাকে। সাধারণত ধূলোবালি, পাখির পালক, পশুর গায়ের লোম, ধোঁয়া, ক্লোরিন, কসমেটিকস, পারফিউম ইত্যাদিও চক্ষু অ্যালার্জির জন্য দায়ী।
চোখের অ্যালার্জি সমস্যা হলে লক্ষণসমূহ
১. চোখ লাল হয়ে যাওয়া।
২. চোখে চুলকানি হওয়া আর অনবরত পানি পড়া।
৩. চোখ খচখচ করা মানে চোখের ভেতর কিছু ময়লা পড়েছে এমন বোধ হওয়া।
৪. চোখ ফুলে যাওয়া
ঠান্ডা পানি
চোখের অ্যালার্জির ক্ষেত্রেও ঠান্ডা পানি অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখে। অ্যালার্জির কারণে চোখ ফুলে গেলে, লাল হলে বা চুলকালে বারবার ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিন।
শসা
শসায় আছে ‘অ্যান্টি-ইরিটেশন প্রপার্টিজ’, যা জ্বালাপোড়া, ফোলাভাব, চুলকানো ইত্যাদি সমস্যায় দারুণ কার্যকর। তাই চোখে চুলকানো বা যেকোনো সমস্যায় একটি শসা ভালোভাবে ধুয়ে, পাতলা টুকরা করে কেটে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেফ্রিজারেটরে রেখে দিতে হবে। ঠান্ডা হলে দুই চোখের ওপর দিয়ে ১০ মিনিট রাখতে হবে। দিনে পাঁচবার এভাবে শসা ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যাবে।
গোলাপজল
চোখের অ্যালার্জি দূর করতে এবং ইনফেকশন সারিয়ে তুলতে গোলাপজলের জুড়ি নেই। দুই থেকে তিন ফোঁটা গোলাপজল চোখে দিয়ে কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ রাখুন। এতে চোখের অ্যালার্জি অনেকটা কমে যাবে।
গ্রিন টি
চোখের সমস্যা থেকে রেহাই পেতেও গ্রিন টি ব্যবহার করা যায়। চোখ পরিষ্কারের জন্য এক কাপ পানিতে দুটি গ্রিন টি ব্যাগ দিয়ে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিতে হবে। সম্পূর্ণ ঠান্ডা হয়ে গেলে এই মিশ্রণ দিয়ে চোখ পরিষ্কার করা যাবে।
লবণ পানি
এক গ্লাস পানিতে তিন চা চামচ লবণ দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এরপর ঠান্ডা হলে এক টুকরো পরিষ্কার তুলা দিয়ে আক্রান্ত চোখ মুছতে থাকুন। এতে চোখের ময়লা দূর হবে এবং চোখের অস্বস্তি ও চুলকানি ভাব দূর হবে।
আমলকী ও মধু
প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই পাউডারের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে শরীরের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এবং শরীর অ্যালার্জেনমুক্ত থাকবে।
সানগ্লাস
যদি আপনার অতিরিক্ত অ্যালার্জির সমস্যা থেকে থাকে, তবে অবশ্যই কোথাও বের হওয়ার আগে সানগ্লাস পরে বের হবেন। বিশেষ করে যেখানে বাস করেন সেটি যদি ধুলাবালিপূর্ণ এলাকা হয়, তাহলে চোখকে ডাস্ট অ্যালার্জিমুক্ত রাখতে সানগ্লাসের জুড়ি নেই।