বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি বাংলাদেশ ন্যাপের

::
প্রকাশ: ২ years ago

পাবলিক রিঅ্যাকশন রিপোর্ট:
গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ বৃদ্ধির বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) সুপরিশের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বিদ্যুতের মুল্য বৃদ্ধির প্রক্রিয়া বন্ধ করে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ প্রদান ও বিদ্যুতে লুটপাট দুর্ণীতি বন্ধ করার দাবী জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।

সোমবার (৯ জানুয়ারী) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ দাবী জানান।

তারা বলেন, সারাদেশকে নিরবিচ্ছন্ন বিদ্যুত দি;তে ব্যর্থ বিদ্যুত বিভাগ কুইক রেন্টালের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। বিদ্যুৎ বিভাগে চরম দুর্ণীতি চলছে। সরকার লুটপাট আর দুর্ণীতি বন্ধ না করে আবারো বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে যা পরিপূর্ণ জনস্বার্থ বিরোধী।

নেতৃদ্বয় বলেন, সরকার একের পর এক পরিবেশ বিধ্বংসী ও ব্যয়বহুল বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে যাচ্ছে। এসব প্রকল্পে সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে বিদ্যুতের ইউনিটপ্রতি উৎপাদন খরচ প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এসবের দায় সাধারণ মানুষের ঘাড়ে চাপানোর জন্য বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করছে।

তারা গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির বিইআরসি’র সুপরিশ বাতিলের দাবী জানিয়ে বলেন, সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে সঠিকভাবে চালাতে ও দুর্নীতিমুক্ত করতে পারলে খরচ অনেক কমানো যাবে। এ জন্য বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি না করে, উল্টো হ্রাস করা সম্ভব।

নেতৃদ্বয় বলেন, আবারো বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি মানে হচ্ছে, প্রায় প্রতিটা জিনিসের মুল্য আরেকদফা বৃদ্ধি কাজ শুরু করা। জিনিস পত্রের দাম বাড়ানোর জন্য যেহেতু কাউকে তাদের জবাব দিতে হয় না, ক্ষমতায় থাকা নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় না; কাজেই মূ্য বৃদ্ধি হবেই। বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির মূল কারণ সরকারের দূর্নীতি, অপচয়, লুটপাট এবং পাচার।

তারা বিদ্যুৎ খাতে অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি দূর করে রাষ্ট্রীয় খাতকে প্রাধান্য দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও দাম কমানোর দাবি জানান।