মেট্রোরেলের প্রথম দিন ছিল ‘সেলফি ডে’, আয় ২৭৪৮৭২ টাকা

::
প্রকাশ: ২ years ago

পাবলিক রিঅ্যাকশন ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার উদ্বোধন করেন। আজ সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় মেট্রোরেল। প্রথমবারের মতো মেট্রোরেলে উঠাকে স্মরণীয় করে রাখতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয়েছে উৎসুক যাত্রীদের। দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থাকার পর বগিতে ওঠার সুযোগ মিলতেই মুহূর্তটিকে ক্যামেরাবন্দি করে রেখেছেন সবাই। অধিকাংশ যাত্রীই তুলেছেন সেলফি।

আগারগাঁও ও উত্তরা উত্তর স্টেশনে শীতের সকালে ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে ভোর থেকেই ছিল মানুষের লম্বা লাইন। প্রথম দিনেই এত মানুষের ভিড়ে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হিমশিম খেতে হয় কর্তৃপক্ষকে। অবকাঠামোয় যেন কোনো ক্ষতি না হয় সেজন্য স্টেশনে ধীর গতিতে যাত্রী ঢুকিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফলে স্টেশনের বাইরে অপেক্ষমান যাত্রীর সংখ্যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে।

অনেকক্ষণ পর আসে সেই কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত, স্বপ্ন ছোঁয়ার লগ্ন, মেট্রোরেলে প্রথমবার পা রাখা। সেই ক্ষণের সাক্ষী হতে কেউ এসেছিলে পরিবার নিয়ে, কেউবা বন্ধু বান্ধব ও প্রিয়জন নিয়ে।

কারও কারও হাত ধরেছিল পরিবারের ছোট্ট শিশুটিও। যে যার সঙ্গে যেভাবেই আসুক না কেন, মেট্রোরেলে ওঠার পর সেলফি, ছবি, ভিডিও করতে ভুল করেননি কেউ। সবাই যার যার মতো নিয়েছেন সেলফি, এমনকি সহযাত্রীদের সঙ্গেও ছবি তুলেছেন অনেকে। স্মৃতির পাতায় এসব ছবি ধারণ করে রাখতে ক্যামেরাবন্দির পাশাপাশি মুহূর্তেই সবাইকে ছবিগুলো পোস্ট করতে দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

উত্তরা উত্তর স্টেশনে দুপুর ১২টার শেষ ট্রেনেও ছিল উপচে পড়া ভিড়। স্টেশন ও কাউন্টার থেকে প্ল্যাটফর্ম হয়ে মেট্রোরেলের ভেতরটা- সবখানেই ছিল মানুষ আর মানুষ। তবে তারা কাজে বের হওয়া যাত্রী নন, অধিকাংশই এসেছেন স্বপ্নের মেট্রোরেলে ওঠার তৃপ্তি মেটাতে। স্টেশন ও ট্রেন ঘুরে দেখা গেছে, সব যাত্রীই মেট্রোরেলের ভেতরে-বাইরে সর্বত্র সেলফি তুলতে ব্যস্ত।

মেট্রোরেলে সেলফি তুলছেন এক যাত্রী। ছবি: ঢাকা পোস্টের সৌজন্যে

প্রথম দিনে আয় ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা:
মেট্রো রেল চালু হওয়ার প্রথম দিন তিন হাজার ৮৫৭ যাত্রী ভ্রমণের সুযোগ পেয়েছেন। উদ্বোধ‌নের পরদিন বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থে‌কে বেলা ১২টা পর্যন্ত উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও রুটে টি‌কিট কে‌টে যাতায়াত করেন তারা।

এ থেকে মেট্রো রেলের আয় হয়েছে দুই লাখ ৭৪ হাজার ৮৭২ টাকা। মোট যাত্রীর মধ্যে তিন হাজার ৭৫৬ জন একক পাস ব্যবহার করেছেন।

তারা সবাই ৬০ টাকা করে ভাড়া দিয়েছেন। এতে আয় হয় দুই লাখ ২৫ হাজার ৩৬০ টাকা। এ ছাড়া ৯৯ জন্য এমআরটি পাস ব্যবহার করেছেন। প্রতি এমআরটি পাসের বিপরীতে ৫০০ টাকা করে পেয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এতে আয় হয়েছে ৪৯ হাজার ৫০০ টাকা। এই কার্ড থেকে ৯৯ যাত্রীর ভাড়া কাটা হয়েছে। আর দুজন যাত্রী র‍্যাপিড কার্ড ব্যবহার করেছেন। সেখান থেকে ১২০ টাকা ভাড়া পাওয়া গেছে।

সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত আগারগাঁও থেকে ২৫টি ও উত্তরা থেকে ২৫টি করে মোট ৫০টি ট্রিপ দেয় মেট্রো রেল।

শুরুর দিন অনেকেই বিদ্যুৎচালিত এই ট্রেনে যাতায়াতের চেষ্টা করলেও পারেননি। ফলে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও ফিরে যেতে হয়েছে তাদের।