দৈনিক ১৬৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের লক্ষ্যে ‘এসজিএফএল’ পুনঃখনন

::
প্রকাশ: ২ years ago

অমিতা সিনহা:
জ্বালানি সংকট নিরসনে ২০২৫সালের মধ্যে দৈনিক ১৬৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের লক্ষ্যে সিলেটে আরও ১৪টি গ্যাস কূপ খনন ও পুনঃখননের কাজ করে যাচ্ছে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল)।

শুধু সিলেটে নয়। দেশের মোট ৪৬টি গ্যাস কূপ অনুসন্ধান, খনন ও পুনঃখননের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার বলে জানিয়েছেন ‘এসজিএফএল’ সংশ্লিষ্টরা। জানা যায়, দেশের জ্বালানি সংকট নিরসনে বর্তমান সরকার উদ্যোগ নিয়েছে গ্যাস উৎপাদনের বৃদ্ধির লক্ষ্যে গ্যাস কূপ খননের কাজ।

সম্প্রতি সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড ১৩টি কূপ পুনঃখনন করে দৈনিক ১৬ থেকে ১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করে যাচ্ছে। সারা দেশে যে ৪৬টি জ্বালানি গ্যাসের উৎপাদনের উদ্যোগের চিহ্নিত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো – বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন(বাপেক্স) ২০টি, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি ১২টি এবং সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি ১৪টি। চিহ্নিতদের মধ্যে সিলেট গ্যাস ফিল্ডের আওতায় ৮টি কূপ পুনঃখনন ও ৬টি কূপ খননের কাজ করে যাচ্ছে। চলতি বছরে সিলেট-৮, কৈলাশ টিলা-৭ ও বিয়ানীবাজার-১ নামে তিনটি পরিত্যক্ত কূপ পুনঃখনন করে দৈনিক ১৬ থেকে ১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়া আরও পাঁচটি কূপ পুনঃখননের কাজ প্রক্রিয়াধীনে আছে।

পুনঃখননের পাশাপাশি ছয়টি কূপকে খনন করা হবে। যদিও ১৪টি কূপ খননের লক্ষ্যমাত্রা ২০২৫সাল। কিন্তু চলতি বছরে তিনটি কূপ পুনঃখনন করে বর্তমানে সেখানে গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে। আসছে ২০২৩সালের মধ্যে অধিকাংশ কূপ খননের কাজ সম্পন্ন করে গ্যাস উৎপাদনের কাজে এগিয়ে যাচ্ছে ‘এসজিএফএল’।

এ প্রসঙ্গে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ১৩টি কূপ থেকে গ্যাস উৎপাদন করা হচ্ছে দৈনিক ৯৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। সুষ্ঠুভাবে কাজ সম্পন্ন হলে ২০২৫ সালে দৈনিক ১৬৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করা সম্ভব। এছাড়া ১৪টি কূপ খনন ও পুনঃখননের বাইরে নতুন গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনায় সিলেটের বিয়ানীবাজার এলাকা ও আশপাশের ১ হাজার ৫৬ বর্গকিলোমিটার এলাকায় নতুন গ্যাসের সন্ধানে ত্রিমাত্রিক জরিপ করা হচ্ছে। সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলায় ১৯১ বর্গকিলোমিটার এলাকার একটি অংশ এবং উপজেলার বারশিয়া, ডুপিটিলা, হারারগঞ্জ ও দক্ষিণ সিলেট এলাকায় ৮৬৫ বর্গকিলোমিটারে ত্রিমাত্রিক জরিপ চালানো হচ্ছে। এসব রিজাল্ট জানা যাবে আগামী ৭ থেকে ৮ মাসের মধ্যে।