পাবলিক রিঅ্যাকশন ডেস্ক:
পদত্যাগপত্র জমা দিতে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে সংসদ ভবনে প্রবেশ করেন রুমিন ফারহানাসহ বিএনপিদলীয় পাঁচ সংসদ সদস্য। পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় স্পিকারের কক্ষ থেকে তারা বেরিয়ে আসেন।
পরে স্পিকারের কাছে জমা দেয়া পদত্যাগপত্র সাংবাদিকদের পড়ে শোনান রুমিন ফারহানা।
পদত্যাগপত্রে বলা হয়েছে, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে চরম স্বৈরশাসন চলছে। বর্তমান সরকারের গণতন্ত্র ও গণবিরোধী কার্যকলাপে গণতন্ত্রহীনতা, বিরোধী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ওপর দমন-পীড়ন, গণগ্রেপ্তার, গুম, হত্যা এবং মত প্রকাশ ও বাকস্বাধীনতা হরণ, ভোটাধিকার ও মানবাধিকার হরণ সর্বোপরি মহান জাতীয় সংসদকে অকার্যকর করার প্রতিবাদে এই পদত্যাগ।
‘জনস্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণকারী এই সংসদের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করে এই সংসদ বাতিলের গণদাবির সঙ্গে একমত পোষণ করছি এবং দলীয় সিদ্ধান্তের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে স্বেচ্ছায়, সুস্থ শরীরে, স্থির মস্তিষ্কে, অন্যের বিনা প্ররোচণায় গভীরভাবে চিন্তা ও বিবেচনার পর অদ্য ১০ ডিসেম্বর ২০২২ সংসদে যার যার আসন থেকে পদত্যাগ করলাম।’
শনিবার রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে বিএনপি ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ করে। সেখানে বিএনপি ১০ দফা দাবি তুলে ধরে। তার মধ্যে ছিল জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করে সরকারের পদত্যাগ ও দলনিরপেক্ষ একটি অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন। ওই গণসমাবেশে জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন বিএনপির সাত সংসদ সদস্য। এরপর রোববার সকালে সশরীরের হাজির হয়ে স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন বিএনপির পাঁচ সংসদ সদস্য।
স্পিকারের কাছে সশরীরে পদত্যাগপত্র দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের মো. আমিনুল ইসলাম, বগুড়া-৪ আসনের মো. মোশাররফ হোসেন, বগুড়া-৬ আসনের জি এম সিরাজ, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের জাহিদুর রহমান এবং সংরক্ষিত আসনের রুমিন ফারহানা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের মো. হারুনুর রশীদ বিদেশে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া অসুস্থ থাকায় তারা সশরীরে হাজির হয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেননি।
এই সংসদের মেয়াদ এক বছরের বেশি সময় বাকি রয়েছে।