পাবলিক রিঅ্যাকশন ডেস্ক:
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরীর দপ্তরে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির পাঁচজন সংসদ সদস্য।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের মো. হারুনুর রশীদ, ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আবদুস সাত্তার ছাড়া বাকি পাঁচজন রোববার (১১ ডিসেম্বর) পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগপত্র দিতে জাতীয় সংসদে যান চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের মো. আমিনুল ইসলাম, বগুড়া-৪ আসনের মো. মোশাররফ হোসেন, বগুড়া–৬ আসনের গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের জাহিদুর রহমান এবং সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা।
এছাড়া, অসুস্থ থাকায় পদত্যাগপত্র জমা দিতে আসতে পারেননি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের এমপি উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। অন্যদিকে বিদেশে থাকায় আসতে পারেননি চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের এমপি হারুন অর রশীদ।
জাতীয় সংসদে প্রবেশের আগে রুমিন ফারহানা সাংবাদিকদের বলেন, সংসদে আমরা যতটুকু সুযোগ পেয়েছি জনগণের কথা, দেশের কথা বলার চেষ্টা করেছি। আমাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। সময়-সুযোগ কম ছিল। তারপরও সর্বোচ্চ করার চেষ্টা করেছি। এখন বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা সংসদ থেকে পদত্যাগ করছি।
তিনি আরও বলেন, সংসদে জনগণের পক্ষে কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। এজন্য সরকার পতনের আন্দোলন জোরদার করতেই একাদশ জাতীয় সংসদ থেকে আমরা পদত্যাগ করছি।
বিএনপির সংসদ সদস্যরা সংবিধানের ৬৭(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
সংবিধানের ৬৭(২) অনুচ্ছেদে বলা আছে, কোনো সংসদ সদস্য স্পিকারের নিকট স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদত্যাগ করিতে পারিবেন, এবং স্পিকার কিংবা স্পিকারের পদ শূন্য থাকিলে বা অন্য কোনো কারণে স্পিকার স্বীয় দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে ডেপুটি স্পিকার যখন উক্ত পত্র প্রাপ্ত হন, তখন হইতে উক্ত সদস্যের আসন শূন্য হইবে।