স্পোর্টস ডেস্ক:
পাঁচবারের শিরোপাধারী ব্রাজিল এবারের আসরেও হট ফেভারিট দল। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়া ঘানার বিপক্ষে হারলেও গ্রুপের শেষ ম্যাচে পর্তুগালকে হারিয়ে সঞ্চয় করেছে আত্মবিশ্বাস। তবে তারকাখচিত ব্রাজিলের বিপক্ষে তারা কতোটা রুখে দাঁড়াতে পারে সেটাই এখন দেখার।
ম্যাচের ফলাফল জানা যাবে ম্যাচ শেষেই, তবে তার আগে কাগজে কলমে দুদলের সামর্থ্য ও সাম্প্রতিক ফর্মের আলোকে ভবিষ্যৎবাণী নিয়ে হাজির আমরা। পাশাপাশি দুই দলের সম্ভাব্য একাদশ, ফর্মেশনও তুলে ধরা হলো ডেইলি স্টারের পাঠকদের জন্য-
কখন?
সোমবার, ৫ ডিসেম্বর, বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টা
কোথায়?
৯৭৪ স্টেডিয়াম, দোহা
টিম নিউজ
গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বেঞ্চের শক্তি যাচাই করলেও এ ম্যাচে সেরা তারকাদের নিয়েই একাদশ গড়বেন তিতে। তবে ইনজুরির কারণে এরমধ্যেই ছিটকে গেছেন গ্যাব্রিয়েল জেসুস ও অ্যালেক্স তেলেস। সেরে ওঠেননি অ্যালেক্স সান্দ্রোও। তবে এ ম্যাচে ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে নেইমারের। আগের দিন দলের সঙ্গে অনুশীলন করেছেন তিনি।
নজরে থাকবেন যারা
গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচেই ফিনিশিং ব্যর্থতা পুড়িয়েছে ব্রাজিলকে। এই ম্যাচে ভিনিসিউসকে সতর্ক থাকতে হবে এই ব্যাপারে। গতি ও ড্রিবলিংয়ের দুর্দান্ত ঝলকে প্রতিপক্ষকে কেবল বোকা বানালেই চলবে না, গোলও করতে হবে রিয়াল তারকাকে। সঙ্গে রিচার্লিসনকে রাখতে হবে অবদান। মাঝমাঠে কাসেমিরোকে আরও একবার দিতে হবে নেতৃত্ব। দুই ম্যাচ পর ইনজুরি কাটিয়ে এই ম্যাচে ফিরছেন তারকা খেলোয়াড় নেইমার।
দলের সবচেয়ে বড় তারকা সন নিজের সেরা রূপে ফিরবেন, সেই আশায় থাকবেন কোরিয়া ভক্তরা। ঘানার বিপক্ষে জোড়া গোল করা চো গুয়ে-সুংয়ের ওপরও থাকবে প্রত্যাশার চাপ।
সম্ভাব্য লাইন আপ
ব্রাজিল: (৪-৩-৩): অ্যালিসন বেকার (গোলরক্ষক), এদের মিলিতাও, মার্কুইনহোস, থিয়াগো সিলভা, দানিলো, লুকাস পাকেতা, কাসেমিরো, ফ্রেড, রাফিনহা, রিচার্লিসন, নেইমার জুনিয়র
দক্ষিণ কোরিয়া: (৪-২-৩-১) কিম সেউং-গিউ (গোলরক্ষক), মুন-হোয়ান কিম, মিন জায়ে কিম, ইয়ং-গুওন কিম, জিন-সু কিম, ইন-বিয়ম হোয়াং, উ ইয়ং জুং, উ-ইয়ং জিয়ং, হিউয়েং মিম সন, হি-চ্যান হোয়াং, গুয়ে-সুং চো।
প্রেডিকশন
তিতের শিষ্যরা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে পেরে উঠবে না কোরিয়া। তবে এই ম্যাচেও যদি ফিনিশিং দুর্বলতা সঙ্গী করে নামে ব্রাজিল, আর সেই সুযোগে চেপে ধরে কোরিয়া, ঘটতে পারে যেকোন কিছুই।
সম্ভাব্য স্কোর:
ব্রাজিল ২-১ দক্ষিণ কোরিয়া
ম্যাচ ফ্যাক্টস
১. এই প্রথম বিশ্বকাপে মুখোমুখি হচ্ছে ব্রাজিল ও দক্ষিণ কোরিয়া। আগের সাতটি মোকাবিলা ছিল প্রীতি ম্যাচে যার ছয়টিই জিতেছে সেলেসাওরা। একটি জয় কোরিয়ানদের।
২. ২০০২ সালের পর আর কখনোই ফাইনাল পর্যন্ত যেতে পারেনি ব্রাজিল। সেই আসরে সর্বশেষ শিরোপার উল্লাসে মেতেছিল লাতিন দলটি।
৩. বিশ্বকাপে সর্বশেষ ১০ ম্যাচের চারটিতে হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ব্রাজিল।
৪. সর্বশেষ সাতটি বিশ্বকাপেই দ্বিতীয় রাউন্ড সফলভাবে পার হয়েছে ব্রাজিল। সবশেষ ১৯৯০ সালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে হেরে শেষ ষোলো থেকে বাদ পড়েছিল পাঁচবারের শিরোপাধারীরা।
৫. ২০১০ বিশ্বকাপের পর এবারই প্রথম নকআউট পর্বে পা রেখেছে দক্ষিণ কোরিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত সেই আসরে শেষ ষোলো থেকে উরুগুয়ে ছিটকে দিয়েছিল তাদের।
৬. নিজেদের সর্বশেষ ১১টি বিশ্বকাপ ম্যাচের মাত্র একটি জিততে পেরেছে দক্ষিণ কোরিয়া। সেটি ছিল চলতি আসরে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পর্তুগালের বিপক্ষে।
৭. বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছানো একমাত্র এশিয়ান দল দক্ষিণ কোরিয়া। ২০০২ সালে এই কীর্তি অর্জন করেছিল তারা। সেই বিশ্বকাপের সহ আয়োজকও ছিল দেশটি।
৮. কাতার বিশ্বকাপে শেষ ষোলোতে পা রাখা দলগুলোর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া একমাত্র দল যাদের ম্যানেজার তাদের দেশের কেউ নন। পর্তুগিজ কোচ পাওলো বেন্তোর অধীনে রয়েছে দলটি।