রসুন কেবল খাবারে স্বাদই যোগ করে না, এটি একটি প্রাকৃতিক সুপারফুড যার শক্তিশালী স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। রান্না করা রসুনের নিজস্ব উপকারিতা থাকলেও, কাঁচা খেলে আরও বেশি পুষ্টি পাওয়া যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি থেকে শুরু করে হৃদরোগের উন্নতি পর্যন্ত, কাঁচা রসুন শরীরের জন্য একটি গেম-চেঞ্জার হতে পারে।
কাঁচা রসুনকে কেন আপনার দৈনন্দিন রুটিনের অংশ করা উচিত? চলুন জেনে নেওয়া যাক প্রতিদিন ২ কোয়া কাঁচা রসুন খেলে কোন কোন উপকার পাবেন।
১। ঘন ঘন সর্দি ও সংক্রমণ নিয়ে চিন্তিত?
কাঁচা রসুনের শক্তিশালী অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা শরীরকে অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। ২০১৫ সালের একটি গবেষণা বলছে, রসুনে থাকা অ্যালিসিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াকে দূরে রাখে। নিয়মিত এটি খেলে সর্দি, ফ্লু এবং সংক্রমণের তীব্রতা এবং প্রবণতা কমে।
২। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
উচ্চ রক্তচাপ একটি নীরব ঘাতক। গবেষণা বলছে, কাঁচা রসুন এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে। রসুন রক্তনালীকে শিথিল করতে এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। ২০২০ সালের একটি গবেষণা বলছে, রসুন খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল স্থিতিশীল রাখে। ফলে কমে হৃদরোগের ঝুঁকি।
৩। শরীরকে প্রাকৃতিকভাবে বিষমুক্ত করে
আমাদের শরীরকে প্রাকৃতিকভাবে বিষমুক্ত করে রসুন। কাঁচা রসুন ক্ষতিকারক পদার্থ বের করে দিয়ে লিভার পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এতে সালফার যৌগও রয়েছে যা ভারী ধাতুর বিষাক্ততা থেকে রক্ষা করে, লিভার এবং কিডনির মতো অঙ্গগুলোর ক্ষতি কমায়।
৪। হজমে সাহায্য করে
রসুন হজমে সাহায্য করে। এটি পাচক এনজাইম উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে এবং শরীরকে আরও দক্ষতার সঙ্গে খাবার ভাঙতে সাহায্য করে। তাছাড়া এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ক্ষতিকারক অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ভালো ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
৫। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে
রসুনে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা কোষের ক্ষতি এবং বার্ধক্যের জন্য দায়ী ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে কাঁচা রসুন নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস কোষের মিউটেশন রোধ করে এবং টিউমারের বৃদ্ধি ধীর করে পাকস্থলী এবং কোলোরেক্টাল ক্যানসারসহ কিছু ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে পারে।