বন্ধ হতে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী মধুমিতা হল

:: আনন্দধারা প্রতিবেদক | পাবলিকরিঅ্যাকশন.নেট
প্রকাশ: ৩ দিন আগে

চিরতরে বন্ধ হতে যাচ্ছে ৫৬ বছরের ঐতিহ্যবাহী মধুমিতা হল। সিনেমা নেই, লোকসানে আর হলটি চালাতে চাচ্ছেন না কর্তৃপক্ষ। এটা ভেঙ্গে এখানে কমার্শিয়াল বিল্ডিং করা হতে পারে বলে জানিয়েছে তারা।

জানা গেছে, সর্বশেষ নভেম্বরে হলটিতে মুক্তি পেয়েছিল ‘দরদ’ সিনেমা। এরপর দুই মাস ধরে হলটি বন্ধ রয়েছে। কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি। যার দরুণ এভাবে হল বন্ধ রেখে স্টাফদের বেতন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানালেন মধুমিতার কর্ণধার ও চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাবেক সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ।

তিনি জানান, আসছে ঈদে সিনেমা চালাবেন এরপর চিরতরে বন্ধ করে দেবেন দেশের ঐতিহ্যবাহী এই হলটি।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে গণমাধ্যমকে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘দুই মাস ধরে হল বন্ধ রয়েছে। আর কোনোভাবে চালানো সম্ভব হচ্ছে না আমাদের পক্ষে। অন্তর্বর্তী সরকারও তো কিছু করছেন না। মাসের পর মাস লোকসান দিয়ে চালাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, এভাবে তো চলতে পারে না। তাই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ৫৬ বছর ধরে সিনেমা চালাচ্ছি কিন্তু এখন আর সম্ভব হচ্ছে না। বন্ধ করেই দিতে হচ্ছে। রোজার ঈদে সিনেমা চালাব, কোরবানি ঈদেও চালাতে পারি এরপর একেবারে বন্ধ করে দিব। ‘উৎসব ছাড়া তো সিনেমা চলে না, দর্শক আসে না। দেশি-বিদেশি কোনো সিনেমাই চলছে না। শুধু সিংগেল স্ক্রিনই নয়, মাল্টিপ্লেক্সেরও তো একই অবস্থা এখন। তাদেরও তো এখন কোনো সিনেমা সেভাবে চলছে না।’

বন্ধ করে দেবার পর পরিকল্পনা কি, এমন প্রশ্নে মধুমিতার এই কর্ণধার বলেন, ‘এটা ভেঙ্গে এখানে কমার্শিয়াল বিল্ডিং করা হতে পারে। যদি সেরকম কিছু হয় তাহলে আমার তো ইচ্ছে আছে এখানে মাল্টিপ্লেক্স করার।’

এর আগে গেল বছরের ১৮ নভেম্বর বন্ধ হয়েছিল মধুমিতা প্রেক্ষাগৃহটি। ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রেক্ষাগৃহটি এখনো ঢাকার সিনেমাপ্রেমীদের কাছে অন্যতম। প্রেক্ষাগৃহটিতে বর্তমানে ১টি প্রদর্শনী কক্ষের মাধ্যমে সিনেমা দেখানো হয়। এতে একসঙ্গে ১২০০ জনের মতো দর্শক সিনেমা উপভোগ করতে পারেন।