পাবলিক রিঅ্যাকশন ডেস্ক:
একটু বুদ্ধি এবং পরিশ্রম করে গ্রামেও যে খুব সাফল্য পাওয়া যায়, তার একটি উদাহরণ মো. আলমগীর। কাজের আশায় গিয়েছিলেন সৌদি আরব। সেখান থেকে ফিরে নিজ উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন কমলা বাগান। প্রথমবারের মত চায়না জাতের কমলা আবাদ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি।
তার অভাবনীয় সাফল্যে অনেকেই এখন কমলা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
আলমগীরের কমলা বাগানের নান্দনিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামে। হলুদ ও সবুজের অপূর্ব সমন্বয়ে বাগানজুড়ে শোভা পাচ্ছে কমলা ফল।
আলমগীর বলেন, প্রবাসে অবস্থানকালে বিভিন্ন ফলের বাগান আমাকে আকৃষ্ট করত। সে চিন্তা থেকেই দেশে ফিরে উদ্যোগ নেই কমলা বাগান তৈরির। ২০২০ সালে গ্রামে ৬৬ শতাংশ জায়গা লিজ নিয়ে শুরু করি বাগান তৈরির কাজ। চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থেকে এক কৃষকের মাধ্যমে খবর পেয়ে সেখান থেকে আমি বাগানের জন্য চায়না কমলার চারা সংগ্রহ করি। এখন আমার বাগানে রয়েছে ১৮০টি গাছ। প্রথম ফলনেই আমার বাগানে দুই টনেরও বেশি কমলা উৎপাদন হয়েছে। যা থেকে মিলবে প্রায় ৩ লাখ টাকা। বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে হয় না বাগান থেকে বিভিন্ন পাইকাররা এসে ১৭০ টাকা কেজি দরে কিনে নিয়ে যাচ্ছে। পর্যায়ক্রমে ফলন দ্বিগুন হওয়ার আশা রাখছি।
জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে এমন কি রাজধানী ঢাকা থেকেও ক্রেতারা ছুটে আসছেন তার কমলা বাগান দেখতে ও কমলা কিনতে। তারা জানান, আলমগীরের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাগানটি গড়ে উঠেছে। তার বাগানের মনোমুগ্ধকর পরিবেশ থেকে দূর দূরান্ত থেকে আসা মানুষ যেমন মুগ্ধ হচ্ছে। তেমনি কমলা বিক্রি করে সে লাভবান হচ্ছে।
স্থানীয় লোকজন বলেন, আলমগীর প্রথমবার কমলা চাষ করে সফল হয়েছেন। তার এই কমলা বাগান দেখে অন্যরাও বাগান তৈরির পরিকল্পনা করছেন।
বিজয়নগর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো: হাদিউল ইসলাম বলেন, এই প্রথম নিজ উদ্যাগে চায়না কমলা আবাদ করা হয়েছে। আমরা কৃষি বিভাগ পরবর্তীতে সব রকম সহযোগিতা করব। চায়না কমলার আবাদ সম্প্রসারণে আগামী অর্থবছর থেকে প্রদর্শণী আকারে বাগান স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।