ভারতের চেন্নাইতে নিজের দ্বিতীয় বোলিং পরীক্ষাতেও পাস করতে পারলেন না সাকিব আল হাসান। বার্মিংহামের পর চেন্নাইতেও নিজের বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় ফেল করেছেন তিনি। ফলে তার ওপর নেমে এলো নিষেধাজ্ঞার খড়গ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং থেকেই নিষিদ্ধ হচ্ছেন তিনি।
নিয়ম অনুযায়ী, পরপর দুই বোলিং টেস্টে ব্যর্থতার কারণে আগামী এক বছরের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বল করা হচ্ছে না তার। যদিও খেলে যেতে পারবেন লাল-সবুজের জার্সিতে। খেলতে হবে ব্যাটার পরিচয়ে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) আজ (১১ জানুয়ারি) এক ঘোষণায় এ নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছে।
এর আগে ২০২১ সালে সাকিব আল হাসানকে তার বোলিং অ্যাকশনে সমস্যার কারণে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তবে তিনি পরে সেই সমস্যা সমাধান করে ফিরে আসেন। কিন্তু এবার নতুন পরীক্ষায় সাকিবের বোলিং অ্যাকশন আবারও আইসিসির নির্ধারিত মানের বাইরে ধরা পড়ে।
ফলে তাকে এই এক বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো।
আইসিসির দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, সাকিব আল হাসানের বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা পুনরায় ব্যর্থ হওয়ায় তাকে ২০২৫ সালের ১১ জানুয়ারি থেকে ২০২৬ সালের ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং করতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে সাকিব কোনো ধরনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে বোলিং করতে পারবেন না। তবে, তাকে সঠিক বোলিং অ্যাকশন নিয়ে ফের পরীক্ষায় অংশ নিতে এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে উৎসাহিত করা হয়েছে।
ব্যাপারটি নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ওপর ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) অধীন প্রতিযোগিতায় বোলিং করার নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। গত মাসে ভারতের চেন্নাইয়ে শ্রী রামচন্দ্র স্পোর্টস সায়েন্স সেন্টারে পুনর্মূল্যায়নের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।