সৈয়দ আশরাফের জানাজা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন শেখ হাসিনা

:: পাবলিক রিঅ্যাকশন রিপোর্ট | পাবলিকরিঅ্যাকশন.নেট
প্রকাশ: ৪ সপ্তাহ আগে
সৈয়দ আশরাফ ও শেখ হাসিনা

সৈয়দ আশরাফের তিনটি জানাজা হবে শুনে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ‘হাঁটে হাড়ি ভাঙা’ প্রথম পর্ব-শিরোনামে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।

সোহেল তার পোস্টের সঙ্গে একটি সংবাদের শিরোনামের স্ক্রিনশর্ট শেয়ার করেছেন। শিরোনামটি হলো- ‘২০১৪ সালের পর শেখ হাসিনার সঙ্গে সৈয়দ আশরাফের সম্পর্কের অবনতি ঘটে।’ তবে সংবাদটি কোন সংবাদপত্র বা অনলাইন পোর্টালের তা জানা যায়নি।

ওই পোস্ট সোহেল তাজ বলেন, ‘সৈয়দ আশরাফের ৩টি জানাজা হবে শুনে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন। তিনি সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ধমক দিয়ে বলেছিলেন ‘ও এত বড় কি হয়ে গেল যে ৩টা জানাজা পড়াতে হবে?’

প্রতিউত্তরে কাচুমাচু করে ওবায়দুল কাদের আমতা আমতা করে জবাবে বলেছিলেন, ‘নেতাকর্মীরা ওনাকে অনেক পছন্দ করে আর তাদেরই দাবি- না মানলে সামলানো যাবে না।’

পোস্টের শেষে সোহেল তাজ লিখেছেন, ‘আওয়ামী লীগের ব্রেইন ওয়াশড-নষ্ট-পঁচা নীতি বা আদর্শ বিচ্যুত লুটেরা-খুনি, হত্যা-গুম-নির্যাতনকারীদের সমর্থক সকলকে বলব- অনতিবিলম্বে আমার এই ফেইসবুক পেইজটি আনফলো করতে। আর অনুরোধ থাকবে নিজের বিবেককে জাগিয়ে আত্মোপলব্ধি-আত্মসমালোচনা করে অনুশোচনা করার।’

শাপলা চত্বরের ঘটনা নিয়ে সৈয়দ আশরাফকে নিয়ে যেসব দোষারোপ করা হয় সেগুলো সত্য নয় বলে ওই পোস্টে দাবি করেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। সোহেল তাজ বলেন, ‘আপনারা যারা আশরাফ ভাইকে শাপলা চত্বর নিয়ে দোষারোপ করছেন তা সঠিক নয়- তিনি হইতো কিছু কথা বলে থাকতে পারেন; কিন্তু সব সিদ্ধান্ত আসতো একেবারে ওপর থেকে।’

ঢাকার শাপলা চত্বরে অবস্থান নিয়ে আলোচনায় এসেছিল কওমি মাদরাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম। কয়েকজন ব্লগারের বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ ও নারী নীতির বিরোধিতা করাসহ ১৩ দফা দাবি তুলে হেফাজতে ইসলাম ওই কর্মসূচি নিয়েছিল। ২০১৩ সালের ৫ মে দিনভর উত্তেজনা ও সহিংসতা ছড়িয়েছিল সংগঠনটির ওই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে। সেই রাতে রাজধানীর অন্যতম বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিলের শাপলা চত্বর ঘিরে তৈরি হয়েছিল এক ভীতিকর পরিবেশ। শেষ পর্যন্ত পুলিশ–র্যাব ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির অভিযানে খালি করা হয়েছিল শাপলা চত্বর।

ওই সময় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। হেফাজতের কর্মসূচীতে তিনি এক বক্তব্যে বলেছিলেন, ‘আমাদের সরলতাকে দুর্বলতা ভাববেন না, রাতের মধ্যেই আপনারা ঘরে ফিরে যাবেন এবং ভবিষ্যতে আপনাদের আর ঘর থেকে বের হতে দেওয়া হবে না।’

পুলিশ–র্যাব ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির অভিযানে শাপলা চত্বর খালি করার পর সৈয়দ আশরাফ বলেছিলেন, ‘হেফাজতে ইসলাম বিড়ালের মতো লেজ গুটিয়ে চলে গেছে।’