নব্বইয়ের দশকের তুমুল জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূর। বাংলা চলচ্চিত্রে তার অনেক সিনেমা আজও সিনেমা প্রেমিদের মনে দোলা দিয়ে যায়। লম্বা সময় ধরে অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন নায়িকা। দীর্ঘ বিরতি ভেঙে আবার ফিরছেন পর্দায়। নতুন ‘রঙ্গনা’ সিনেমা দিয়েই বড় পর্দায় ফিরছেন তিনি- এমন ঘোষণা কিছুদিন আগেই দিয়েছেন। বাংলা চলচ্চিত্রের গুণী এই নায়িকার জন্মদিন আজ (১৭ ডিসেম্বর)।
জন্মদিনের বিশেষ দিনে এক গণমাধ্যমে নিজের ব্যক্তিগত নানান অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন শাবনূর। কথা প্রসঙ্গে উঠে এসেছে বিয়ে ও ডিভোর্স প্রসঙ্গও।
পর্দায় ফেরা প্রসঙ্গে শাবনূর বলেন, ‘গত বছর রঙ্গনা নামে এক ছবিতে অভিনয়ের কাজ শুরু করেছিলাম। নানা কারণে ছবিটির কাজ এখনো শেষ হয়নি। শিগগিরই কাজে ফেরার ইচ্ছা আছে।’
নায়িকা বলেন, ‘দীর্ঘ দেড় যুগের ক্যারিয়ারে যত ঝড়ঝাপটা আমার ওপর এসেছে, যত স্ক্যান্ডাল আমাকে ফেস করতে হয়েছে, পৃথিবীর অন্য কোনো শিল্পীকে বোধ করি অতটা করতে হয়নি। মিথ্যে সম্পর্কের গুঞ্জন, সালমানের হত্যা/আত্মহত্যার জন্য অভিযুক্ত হওয়া, একাধিকবার এফডিসির বিভিন্ন সমিতি কর্তৃক ব্যান হওয়া, উফ! কী ফেস করতে হয়নি আমাকে! একই সঙ্গে পারিবারিক নানা টানাপোড়েনে অতিষ্ঠ ছিল আমার জীবন। বিশেষ করে স্বামীর সঙ্গে আমার ডিভোর্স, অন্য যে কেউ হলে বোধ হয় পাগল হয়ে যেত, সমস্যা ভুলে থাকার জন্য মাদকের আশ্রয় নিত বা আত্মহত্যা করত। আমি কিন্তু সব নেগেটিভকে মনের জোরে পাশ কাটিয়ে জীবনটাকে পজিটিভবলি গড়ে তুলতে পেরেছি বলে সুখ আমার সঙ্গে বিট্রে করতে পারেনি।’
স্বামী অনিক মাহমুদের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে ২০২০ সালেই। নতুন করে আর সংসার পাততে চান না জানিয়ে শাবনূর বলেন, ‘আমার আর সংসারি হওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়া যে কোনো নারীর জন্য ভয়ংকর অভিজ্ঞতা। এ কারণেই বাধ্য হয়ে স্বামীকে ডিভোর্স দিতে হয়েছে আমার। অনেকে মনে করেন, একবার কারও প্রতারণার শিকার হলে আর কোনো পুরুষ মানুষকে বিশ্বাস বা বিয়ে করা যায় না। এটি ভুল ধারণা। ভালোমন্দ পৃথিবীর সবকিছুতেই আছে। তাই বলে ভালো মানুষ যে আর পাওয়া যাবে না, তা কিন্তু নয়। তবে আমার আর বিয়ের ইচ্ছা না থাকার কারণ হচ্ছে একমাত্র পুত্র আইজানকে প্রতিষ্ঠা করা। সত্যিকারের মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা।’
পরিশেষে জন্মদিনে সবার দোয়া চেয়ে শাবনূর বলেন, ‘আজ আমার জন্মদিনে সবার দোয়া চাই আমার ও আমার সন্তান আইজানের জন্য। ওকে যেন মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি, আমরা দুজনই যেন প্রকৃত সুখী হয়ে জীবনের শেষ দিনগুলো মহাসুখে কাটাতে পারি।