প্রান্তিক পোল্ট্রি শিল্প রক্ষায় খামারিদের ছয় দাবি

:: পাবলিক রিঅ্যাকশন রিপোর্ট | পাবলিকরিঅ্যাকশন.নেট
প্রকাশ: ১ মাস আগে

একদিনের মুরগীর বাচ্চার যৌক্তির দাম নির্ধারণ, ফিডের দাম কমানো, পোল্ট্রি শিল্পে বৈষম্য দূর করাসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে প্রান্তিক খামারিরা।

বাংলাদেশ প্রান্তিক পোল্ট্রি শিল্প রক্ষা সংগঠনের পক্ষ থেকে এক খোলা চিঠিতে এই দাবি জানানো হয়।

সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ব্রয়লার, লেয়ার, সোনালী, ও মাছ গরুর খাদ্যসহ সকল প্রকার গৌ-খাদ্যের অযৌক্তিক দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে, অনতিবিলম্বে দাম কমাতে হবে এবং সকল প্রকার খাদ্যের মান বৃদ্ধি করতে হবে।

ব্রয়লার, লেয়ার, সোনালী, সহ সকল প্রকার মুরগির বাচ্চার দাম কমাতে হবে এবং বাচ্চার মান বৃদ্ধি করতে হবে ২৫ টাকার মুরগির বাচ্চা ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে এই সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে।

কর্মহীন বেকার তরুণ উদীয়মান যুবকসহ সকল শ্রেণীর বেকার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে পোল্ট্রি খাতে এসেছে। কিন্তু খাদ্য ও বাচ্চা উৎপাদনকারী কর্পোরেট কোম্পানিগুলো প্রান্তিক খামারীদের জিম্মি করে ব্যবসায় ধস নামাচ্ছে। তাই এসব কোম্পানি রেডি মুরগি ও ডিম উৎপাদন করতে পারবে না। এ ধরনের কোম্পানির সংখ্যা প্রায় দুই হাজারের মতো। এরা বেকার মানুষের কর্মসংস্থান দখল করে আছে।

দেশের মানুষকে প্রোটিন পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে দেশে বন্ধ হওয়া ৩০ লক্ষ প্রান্তিক খামারিদের সরকারি ঘোষনাকৃত, সহজ শর্তে স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণের আওতায় আনতে হবে। যাতে সকল খামারি খামার চালু করতে পারে।

জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ডিলাররা ৫০ টাকার বাচ্চা ৭০-৮০ টাকা রাখছে, বাচ্চার কার্টুনের গায়ে মূল্য নির্ধারণ না থাকায় ডিলাররা বাচ্চাপ্রতি বেশি টাকা রাখে, খাদ্য থেকে বেশি টাকা রাখে, মেডিসিন থেকে বেশি টাকা রাখে, আবার সেই রেডি মুরগি বাজার মূল্য থেকে ১০ টাকা কমে ডিলারদের কাছে বিক্রি করতে হয়, তা না হলে মুরগি বিক্রি করা যায় না। এ রকম বৈষম্য ও সিন্ডিকেট থেকে আমরা প্রান্তিক খামারিরা মুক্তি চাই।

যে সকল খামারি ডিলার কিংবা কর্পোরেট কোম্পানির কাছে ব্ল‍্যাংক চেক দেওয়ার কারণে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা খেয়েছেন আমরা সকলেই মিলে সেই মামলার পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিহত করব। এ ধরনের মামলায় সরকারের আন্তরিকতা ও হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, পোল্ট্রি শিল্পের সমস্ত সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হলে প্রত্যেক জেলা-উপজেলায় খামারিদের অধীনস্থ ডিলার নিয়োগ করতে হবে। প্রত্যেক জেলা-উপজেলা খামারিরা এক স্থান থেকে খাদ্য বাচ্চা সংগ্রহ করতে হবে এবং রেডি মুরগি বিক্রি করার জন্য প্রত্যেক জেলা উপজেলায় একটি করে সরকার নির্ধারিত মুরগির আড়ৎ বসাতে হবে।

সেই লক্ষ্যে দেশের সকল খামারিদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রান্তিক পোল্ট্রি শিল্প রক্ষা সংগঠন।