বন্যার্তদের জন্য সংগ্রহ করা ত্রাণ পড়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বদ্ধ কক্ষে

:: পাবলিক রিঅ্যাকশন রিপোর্ট | পাবলিকরিঅ্যাকশন.নেট
প্রকাশ: ২ মাস আগে

চলতি বছর দেশের আকস্মিক বন্যায় অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয় মানুষের। এসব বন্যাদুর্গতদের জন্য ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের টিএসটিতে চলা ত্রাণ সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়। তখন সর্বস্তরের মানুষ সাধারণ মানুষের সহায়তায় অকারতে দান করে। এর মধ্যে অধিকাংশ সহায়তা বিতরণ হয়েছে। কিন্তু এখনো অনেক সহায়তা বস্তাবন্দি আকারে পড়ে আছে।

রোববার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোশ্যাল সায়েন্স ভবনের নীচে এ অবস্থা দেখা গেছে।

গণত্রাণ কর্মসূচির মাধ্যমে ত্রাণ সংগ্রহ এবং বিতরণকে সাধুবাদ জানিয়েছে সবাই। এখন পর্যন্ত পড়ে থাকা ত্রাণগুলোও বিতরণের জন্য গণত্রাণ কর্মসূচির সদস্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে আজ সোমবার একজন ফেসবুক পোষ্টে লিখেন, ‘ত্রাণ বিতরণ করতে না পারলে তোলা ঠিক না। কাল বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোশ্যাল সায়েন্স ভবনের নীচে এ অবস্থা দেখলাম। উপস্থিত সবাই কেবল এটুকু জানালেন অনেকদিন এভাবে জিনিসপত্রগুলো পড়ে আছে। সৌজন্য, আলতাফ পারভেজ৷ পাহাড়ে অনেক মামুষ না খেয়ে আছেন দ্রুত এগুলো তাদের কাছে পৌছানো হোক৷ এগুলো মামুষের ভালবাসার দান৷ সুতরাং প্রত্যেকটি জিনিষ পৌছাতে হবে৷’

প্রসঙ্গত, গত ৪ সেপ্টেম্বর বন্যাদুর্গতদের জন্য ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের টিএসটিতে চলা ত্রাণ সংগ্রহ কার্যক্রম সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। গণত্রাণ কর্মসূচিতে সেদিন (৪ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত সংগ্রহ হয়েছে ১১ কোটি ১০ লাখ টাকা। খাবার বিতরণ ও প্যাকেজিংসহ বিভিন্ন মাধ্যমে খরচ হয়েছে ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। অবশিষ্ট টাকা ব্যয় হবে বন্যার্তদের পুনর্বাসনে।

সেদিন সন্ধায় টিএসসিতে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ সময় কথা বলেন সমন্বয়ক রেজোয়ান আহমেদ ও সমন্বয়ক লুৎফর রহমান।

আগষ্টের মাঝামাঝি থেকে শুরু হওয়া আকস্মিক বন্যায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে কুমিল্লা, ফেনী, লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন জেলা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবীদের দ্বারা চলে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম।

২২ আগস্ট থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণত্রাণ সংগ্রহের আয়োজন চলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে। এতে যোগ দেন বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ। ত্রাণ সংগ্রহ কার্যক্রম আপাতত বন্ধের কথা জানিয়েছেন সমন্বয়করা। ত্রাণ বিতরণের বাইরে থাকা অবশিষ্ট বাকি অর্থ সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে বন্যার্তদের পুনর্বাসনে ব্যয় করার কথাও জানান তারা।

তারা জানান, ত্রাণ সুষ্ঠ বণ্টনে স্থানীয় ছাত্রদের সঙ্গে সমন্বয় করে বন্যাদুর্গত এলাকায় পৌঁছে দিতে কাজ করছেন আয়োজকরা। এ ছাড়া বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে তাদের গণরান্না কর্মসূচিও চলমান রয়েছে।

আয়োজকরা জানান, সবমিলিয়ে যে অর্থ উঠেছে তা সমন্বয়ক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের দ্বারা পরিচালিত দুটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে জমা রয়েছে।

কীভাবে এবং কাদের মাধ্যমে ব্যবহার হলে সর্বোচ্চ মানুষের উপকার হবে সেই বিষয়য়ে স্থানীয় এবং দেশের ছাত্র-জনতার পরামর্শ আহ্বান করেন তারা।