ঢাকাই চলচ্চিত্রের ‘প্রিয়দর্শিনী’ খ্যাত নায়িকা মৌসুমী। প্রয়াত নায়ক সালমান শাহ’র সঙ্গে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমায় অভিনয় করেই রাতারাতি তারকা খ্যাতি পেয়েছেন। সালমান শাহ ও মৌসুমী জুটির প্রথম ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ করেই বাজিমাত করেন। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাদের।
তবে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বে জড়িয়ে এই জুটি তেমন কাজ করেননি অনেকটা সময়।
বাংলা চলচ্চিত্রের ক্ষণজন্মা নায়ক সালমান শাহ আর নেই। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মৌসুমীকে নিয়ে অজানা কিছু তথ্য ফাঁস করেছেন সালমান শাহ’র মা নীলা চৌধুরী। গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মৌসুমী- সালমান শাহ জুটি কেন ভেঙে যায় সে বিষয়েও কথা বলেন তিনি।
নীলা চৌধুরী বলেন, মেক আপ ছাড়া বাস্তবে মৌসুমীকে দেখতে বিশ্রি লাগে। কেয়ামত থেকে কেয়ামত চলচ্চিত্রের পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের সঙ্গে মৌসুমীর ‘প্রেমের সম্পর্ক’ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। আর সেই কারণেই পরিচালক মৌসুমীকে সুযোগ সুবিধা বেশি দিতেন।
এমন কী সিনেমার পোস্টারে মৌসুমী ছবি বড় রেখে সালমান শাহকে ছোট করে রেখেছেন বলে দাবি করেন তিনি।
অনেকের ধারণা, সালমান-মৌসুমীর দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কও ছিল। সেই কারণেই হয়তো জুটি ভেঙে যায়। তবে বিষয়টিকে উড়িয়ে দিয়ে দেন তিনি। বরিশালে সিনেমার শুটিংয়ে যেয়ে ঝগড়া হয়েছিল বলে মৌসুমী-ওমর সানী বিভিন্ন সময়ে বলেছিলেন। সেসব মিথ্যা বলেও জানান তিনি।
পরিচালক মৌসুমীকে প্রাধান্য বেশি দিতেন। আর সালমান শাহকে অবহেলা করতেন বলেও জানান তিনি। এসব কারণে সালমান-মৌসুমী ভেঙে যায় বলেও জানান তিনি।
তবে বিষয়গুলো নিয়ে মৌসুমীর পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে সালমান শাহর মৃত্যুর পর তৈরি হয় নানা বিতর্ক। বিতর্ক ছিল চিত্রনায়কের মা নীলা চৌধুরীকে নিয়েও। কথা ওঠে, প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সঙ্গে নীলা চৌধুরীর সম্পর্ক ছিল। সাক্ষাৎকারে এ বিষয়েও কথা বলেন নীলা চৌধুরী।
নীলা চৌধুরী বলেন, ‘সালমান শাহ আত্মহত্যা করেনি। আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে দেশে ফিরিয়ে এনে এই হত্যার বিচার করা প্রয়োজন। ছেলে হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে নানাভাবে অপমান করা হয়েছে আমাকে। এমনকি একটি চলচ্চিত্রে দেখানো হয়েছে, এরশাদ সাহেবের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল। এরশাদ সাহেবের সঙ্গে মিলে আমিই নাকি খুন করেছি সালমান শাহকে। ’
এরশাদের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে স্পষ্ট করে নীলা চৌধুরী বলেন, এরশাদ সাহেব জেল থেকে বের হওয়ার পর আমার বাসায় আসেন। কিন্তু আমি শুরুতে ওনাকে আমার বাসায় আসতে দিইনি। পরে উনি টেলিফোনে আমাকে বলেন, তোমার ইমন যদি দরজায় এভাবে দাঁড়িয়ে থাকত তাহলে কি ফিরিয়ে দিতে? আমি তো জেল থেকে সালমান শাহর মৃত্যুর খবর পেলাম।
তিনি বলেন, এরপর আমার স্বামী গিয়ে দরজা খুলে দিল। এভাবে আমাদের বাসায় ওনার আসা-যাওয়া শুরু হয়।