বাংলাদেশে চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সকে (আইএসআই) দায়ী করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
শনিবার (১০ আগস্ট) ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ অভিযোগ করেন।
জয় দাবি করেন, বিদেশি শক্তি এই আন্দোলন পরিচালিত করেছে। তিনি বলেন, ‘আমি এখন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, ছোট গোষ্ঠীটি বিদেশী একটি গোয়েন্দা সংস্থা দ্বারা প্ররোচিত হয়েছিল। আমি আইএসআইকে প্রবলভাবে সন্দেহ করি। আন্দোলন অব্যাহত রাখার কোনো কারণ ছিল না। কারণ কোটা আমাদের সরকার বাধ্যতামূলক করেনি।’
শেখ হাসিনার বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছিল বলে দাবি করেন জয়। তিনি বলেন, ‘তারা আমার মায়ের বক্তব্য সেখান থেকে নিয়েছে, যেখানে তিনি বলেছিলেন যে, আমরা রাজাকারদের পরিবারকে চাকরিতে চাই না। তারা সেই বক্তব্য তা বিকৃত করে ছড়িয়েছে যে, আমার মা বলেছেন, আন্দোলনকারীরা রাজাকার। আমার মা কখনও এ কথা বলেননি। তবে এটি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।’
জয় বলেছেন, ‘পুলিশকে বল প্রয়োগের নির্দেশনা দেওয়া হয়নি এবং অতিরিক্ত বল প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে।’ এ সময় তিনি প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে বিক্ষোভকারীরা অস্ত্র পেয়েছিলেন?
সাক্ষাৎকারে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের সমালোচনা করেন জয়। এই সরকারকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়েছেন তিনি। জয় বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বরাবরই সংখ্যালঘুদের রক্ষা করেছে এবং বর্তমান সরকার তা করতে ব্যর্থ হচ্ছে। সংখ্যালঘুদের নিরাপদ রাখতে, বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করতে চাই।’
শেখ হাসিনা সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘ক্ষমতাগ্রহণের ১২ ঘণ্টার মধ্যে তারা (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) ভুল করতে শুরু করেছে। তারা এরইমধ্যে জানিয়েছে যে, নির্বাচনকে তারা গুরুত্ব দিচ্ছে না। দেশের সংস্কারে বিগত সরকারের বিচারকে তারা অগ্রাধিকার দিচ্ছে। একটি অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখল করা এক জিনিস; শাসন করা অন্য জিনিস। তারা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত না। তাদের কথা কে শুনবে?’
গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। এর তিনদিন পর বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আরও ১৬ উপদেষ্টাকে এরই মধ্যে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।