অবিকল কণ্ঠস্বর হোক, লেখা হোক আর ছবিই হোক, এইআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বিশ্বজুড়ে চলছে নানা আয়োজন।
কী না করা যায় এই এআই দিয়ে? মানুষের চেহারাও অবিকল তৈরি করা যায় এআই দিয়ে। এ যেন এখন এক তুরির কাজ। কিন্তু, এআইকে ব্যবহার করে একজন মানুষের চেহারা কতটা আকর্ষণীয় করা যায়, সেখানেই রয়েছে যত দক্ষতা। গত কয়েক বছর যাবত আকর্ষণীয় চেহারা তৈরিতে বেশ জনপ্রিয় উঠেছে এ প্রযুক্তি।
আর এ নিয়ে সম্প্রতি বিশ্বে প্রথমবারের মত হয়েছে অনুষ্ঠিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই সুন্দরী প্রতিযোগিতা। এতে বিজয়ীর মুকুট অর্জন করেছেন কেনজা লাইলি নামে এক মরক্কোর ইনফ্লুয়েন্সার।
এখানে অংশগ্রহণকারীরা এআইকে ব্যবহার করে একটি ভার্চুয়াল মডেলকে নিজের মত রূপ দিয়েছেন। কোন প্রতিযোগী এআই মডেলকে সবচেয়ে আকর্ষণীয় রূপে তৈরি করেছে। সবমিলিয়ে মডেলের গঠন, পোশাক, ডিজাইন দেখে বিবেচনা করা হয়েছে। প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ক্রিয়েটরের দক্ষতা এবং কোন টুলের মাধ্যমে ক্রিয়েটর এ মডেল বানিয়েছেন, তা যাচাই করা হয়েছে। এখানে প্রম্পট সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রতিযোগিতা বিশ্বে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো। এতে বিজয়ীর মুকুট অর্জন করেছেন কেনজা লাইলি নামে এক মরক্কোর ইনফ্লুয়েন্সার।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে আয়োজন করা হয় বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই সুন্দরী প্রতিযোগিতা ‘মিস এআই’। এআই কনটেন্ট-নির্ভর ওয়েবসাইট ফ্যানভ্যু আয়োজন করে ইভেন্টটি। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে গেল প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব। এতে মরক্কোর হিজাবি ইনফ্লুয়েন্সার কেনজা লাইলির মাথায় উঠেছে বিজয়ীর মুকুট।
প্রায় ১ হাজার ৫০০ প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে সে এই সম্মাননা অর্জন করেছেন । এ ছাড়া রানার্সআপ হয়েছে ফ্রান্সের লালিনা ভালিনা ও পর্তুগালের অলিভিয়া সি।
কেনজা লাইলি হিজাব পরিহিত অ্যাকটিভিস্ট ও ইনফ্লুয়েন্সার। ইনস্টাগ্রামে তার অনুসারীর সংখ্যা ১ লাখ ৯৫ হাজার। সে-ই মরক্কোর প্রথম ভার্চ্যুয়াল ইনফ্লুয়েন্সার। নিজের কনটেন্টের মাধ্যমে লাইলি তার দেশের ঐতিহ্যকে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে চায়।