রাসেলস ভাইপার সাপ রয়েছে ঢাকায়ও

:: পাবলিক রিঅ্যাকশন রিপোর্ট | পাবলিকরিঅ্যাকশন.নেট
প্রকাশ: ৫ মাস আগে
বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপ। ছবি : সংগৃহীত

সারাদেশেই এখন আতঙ্কের এক নাম রাসেলস ভাইপার সাপ। বাংলাদেশে সাধারণত চন্দ্রবোড়া নামে ডাকা হলেও বিশ্বব্যাপী সাপটি রাসেলস ভাইপার নামেই পরিচিত। সম্প্রতি রাসেল ভাইপারের দেখা মিলেছে ঢাকা জেলাতেও।

ঢাকার দোহারের নদী উপকূলে রাসেলস ভাইপারের দেখা পেয়েছে স্থানীয়রা। আশঙ্কা করা হচ্ছে নিকট ভবিষ্যতে এটি রাজধানী ঢুকে পড়তে পারে এটি।

সরকারী তথ্য অনুযায়ী, মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের চর এলাকায় গত তিন মাসে এই সাপের কামড়ে মারা গেছে অন্তত তিনজন। গত দুই তিন বছর ধরেই এটির বিচরণ বেড়েছে ব্যাপকহারে।

তথ্য বলছে সাপটি গত কয়েক বছরে এর স্বাভাবিক চরিত্র বদলেছে। বিরূপ পরিবেশেও মানিয়ে নিচ্ছে এটি। এর ফলে বিভিন্ন এলাকায় এটির বিচরণ বহুগুণ বেড়ে গেছে।

ভূমিতে বসবাসকারী বিশ্বের ৫ম বিষাক্ত এটি। তবে হিংস্রতার দিক দিয়ে এটিই প্রথম। অন্য সাপ যেখানে মানুষের উপস্থিতি দেখলে ভয়ে পালায়, সেখানে চন্দ্রবোড়া ব্যতিক্রম। ভয় পেলে এরা কুণ্ডলী পাকিয়ে আক্রমণের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে। মানুষ দেখলেই এরা তেড়ে আসে কামড় বসায় জায়গামতো।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাসেলস ভাইপার সাপ লোকালয়ে সাধারণত খুব কমই দেখা যায়। বাচ্চা দেওয়ার কারণে হয়তো সাপ লোকালয়ে চলে আসে। স্ত্রী সাপ ডিম দেওয়ার পরিবর্তে সাধারণত ৫-৫০টি বাচ্চা প্রসব করে। অন্যান্য সাপের ক্ষেত্রে কামড় দেয়ার ৪৮ ঘণ্টা পর রোগীকে স্বাভাবিক ভাবা গেলেও রাসেলস ভাইপার কামড় দেয়ার পর অ্যান্টিভেনম কাজ করলেও ক্ষত স্থানের মাংস পচে যায়।