বাংলাদেশ থেকে ৮০ ক্যাটাগরিতে লোক নিতে চায় জাপানের দুটি কোম্পানি। তবে প্রথম ধাপে কয় ক্যাটাগরিতে আর কত সংখ্যক লোক নিবে সে বিষয়ে কিছুই জানায়নি প্রতিষ্ঠানটি।
রোববার বিকেলে জাপানে শ্রমশক্তি রপ্তানি সংক্রান্ত দু’টি কোম্পানির সাথে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে একথা জানান প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ দক্ষ জনবল রয়েছে। তাদের চাহিদা অনুযায়ী জাপান সরকারের মাধ্যমে আবেদন সাপেক্ষে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়া সংক্রান্ত সব বিষয়ে তদন্ত কমিটির সাথে বসা হবে। এরপর যাদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হবে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার হবে।
জাপানের প্রতিনিধিদলকে তাদের প্রয়োজনীয় কারিগরি প্রশিক্ষণের জন্য টিটিসির ব্যবস্থা করা হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেখানে তারা আগ্রহী কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করবে এবং যোগ্যদের বাছাই করতে সক্ষম হবে।
জাপান প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের ভালো সংখ্যক দক্ষ কর্মীর প্রয়োজন রয়েছে। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন জাপানের ইউরিগুমি মেরিটাইম কোম্পানি লিমিটেডের মাসাফুমি ইউরিগুমি।
মালয়েশিয়া শ্রমবাজার পরিস্থিতি, তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন ও অভিযোগ করার সময়সীমা শেষ হওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তদন্ত কমিটি এ বিষয়ে কাজ করছে তদন্ত শেষ হওয়ার পরে এ বিষয়ে আপনাদের বিস্তারিত জানানো হবে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের অভিযোগ এরইমধ্যে ই-মেইলের মাধ্যমে এসেছে।
তবে কি পরিমাণ অভিযোগ জমা পড়েছে সে বিষয়ে কিছুই জানাতে পারেননি তিনি।
তবে মন্ত্রী বলেন, আশা করছি, যারা দোষী আছে তাদের কী ধরনের সাজা দেওয়া যায়, সে ব্যাপারে সুপারিশ থাকবে। এ ছাড়াও, মালয়েশিয়া যাওয়ার ক্ষেত্রে যারা ক্ষতিগ্রস্ত রয়েছেন তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাক্ষাতকালে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফর, বাংলাদেশ ওভারসিস অ্যামপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।