পাঠ্যবই থেকে ‘শরীফার গল্প’ বাদ দিতে সুপারিশ

:: পাবলিক রিঅ্যাকশন রিপোর্ট | পাবলিকরিঅ্যাকশন.নেট
প্রকাশ: ৬ মাস আগে

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটির পর্যালোচনার পর সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের ‘শরীফার গল্প’ অংশটি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রতিবেদনে কমিটির সদস্যরা গল্পে ব্যবহৃত ১৯টি শব্দ ‘ইসলাম ধর্ম’ ও ‘বাংলাদেশের সমাজব্যবস্থার’ সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে মত দিয়েছেন। তার পরিবর্তে হিজড়া জনগোষ্ঠীদের নিয়ে মানবিক গল্প পাঠ্যবইয়ে সংযুক্ত করার সুপারিশ করেছে বিশেষজ্ঞ কমিটি।

মে মাসের প্রথম সপ্তাহে এ সুপারিশসহ রিপোর্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা হয় বলে কমিটির এক সদস্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সপ্তম শ্রেণির ওই গল্পের ১৯টি শব্দ নিয়ে কমিটির কয়েকজন সদস্য আপত্তি তুলেছেন। আবার ওই শব্দগুলো বাদ দিলে গল্পই থাকে না। সেজন্য গল্পটি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। তবে এর পরিবর্তে হিজড়াদের অধিকারের বিষয়ে সচেতন করতে মানবিক গল্প সংযুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে।

ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রতিবেদনে পাঠ্যবইয়ের বিভিন্ন ভুলের উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই গল্পটি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এখন মন্ত্রণালয় পরবর্তী সিদ্ধান্ত দেবে। ‘

নতুন শিক্ষাক্রমের সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা অধ্যায়ে হিজড়া জনগোষ্ঠী সম্পর্কে আলোচনার মধ্যে ‘শরীফার গল্প’ উপস্থাপন করা হয়।

গল্পের ‘শরীফা’ হিজড়া নাকি ট্রান্সজেন্ডার—এ বিতর্কের মধ্যে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন এক শিক্ষক একটি সেমিনারে বই থেকে ‘শরীফার গল্পের’ পাতা দুটি ছিঁড়ে ফেলেন।

পরে গল্পটি পর্যালোচনা করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে।

ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আবদুর রশীদকে আহ্বায়ক করে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর মুফতি মাওলানা কফিল উদ্দিন সরকার, এনসিটিবির সদস্য অধ্যাপক মশিউজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক আবদুল হালিম এবং ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ আবদুর রশীদের সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যের এই কমিটি করা হয়।